—ফাইল চিত্র।
মেলাটা বিজ্ঞানের। মঞ্চটা বিজ্ঞান চর্চার। সেই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানমেলার উদ্বোধনে বিজ্ঞানের কথা কিছু হল ঠিকই। কিন্তু বেশির ভাগ অংশ জুড়ে রইল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন আর ‘সাফল্য’-এর প্রচার! শৌচাগার তৈরি থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের প্রগতি— সর্বত্রই মোদীর অনুপ্রেরণা রয়েছে বলে শুক্রবার ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল’-এর উদ্বোধনী ভাষণে জানালেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। যদিও আজ, শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোট। তার আগে বিজ্ঞানমেলায় মোদী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের এ-হেন প্রচারকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক শিবির। চার বছরে মোদী কত শৌচাগার তৈরি করেছেন, বিজ্ঞান নিয়ে মোদীর স্বপ্ন কী এবং ২০২২ সালের মধ্যে দেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন মোদী— এ দিন সবই তুলে ধরেন হর্ষ বর্ধন। এক ধাপ এগিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন সার্থক করার জন্য মোদীর মতো দৃঢ় হওয়ার পরামর্শ দেন নব বিজ্ঞানীদের। অনুষ্ঠানে ছিলেন বিদেশি বিজ্ঞানীরাও। হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘‘স্বপ্ন সার্থক করার জন্য দৃঢ়তা দরকার। যেমন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতো স্বপ্ন দেখুন আর সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য মোদীর মতোই দৃঢ় হয়ে উঠুন।’’
এ বার বিজ্ঞানমেলার হোর্ডিংয়েও রাজনীতির দাপট চোখে পড়ার মতো। মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ছবিতে মুখ ঢেকেছে গোটা লখনউ শহর। স্কুলপড়ুয়া ও সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন মেলায়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতেও সিগন্যাল দেখা যাচ্ছে না। এ দিন থেকে রাস্তার গরু ধরা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানে যাতে যানজট না-হয়, সেই জন্যই এই উদ্যোগ বলে পুলিশের একাংশের অভিমত। যদিও পুলিশের অন্য অংশের বক্তব্য, এটা অনেক দিন আগেই শুরু হয়েছে।
মেলায় ঢালাও খরচের মধ্যেও গবেষকদের আর্থিক অসুবিধার প্রশ্নটি বড় হয়ে উঠছে। নব বিজ্ঞানী সম্মেলনে দিল্লি থেকে আসা এক গবেষক জানান, তিনি সর্ষে নিয়ে কাজ করছেন। কম খরচে উন্নত মানের সর্ষের চাষ কী ভাবে করা যায়, তার জন্য চাষিদের সঙ্গে আলোচনা ও মাঠে-ময়দানে গবেষণা করা খুব জরুরি। কিন্তু আর্থিক অসুবিধা থাকায় সেটা সম্ভব হয় না। তাঁর বক্তব্য, গবেষণায় অর্থসমস্যার সুরাহা করা দরকার। শুধু স্বপ্ন দেখে বিজ্ঞানের প্রসার হওয়ার নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy