ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সমুদ্রের সুনাম থাকলেও নিখোঁজ ডর্নিয়ের বিমানের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত তার প্রমাণ মেলেনি। তবে শনিবারেই নৌবাহিনীর একটি জাহাজ সমুদ্র থেকে ওই বিমানের কিছু সঙ্কেত পেয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরেই উপকূলরক্ষী বাহিনী বিমানটির হদিস পেতে শেষ পর্যন্ত ডুবোজাহাজের সাহায্য নিল!
উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রের খবর, করাইকল উপকূল ও নোভো বন্দরের মাঝামাঝি একটি জায়গা থেকে ওই বিমানের ব্যাপারে সঙ্কেত মিলেছিল। আর ‘আইএনএস সিন্ধুধ্বজ’ নামে নৌবাহিনীর একটি ডুবোজাহাজকে সেই জায়গাতেই তল্লাশির কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু রবিবার রাত পর্যন্ত বিমান বা তার অফিসারদের কোনও খোঁজ মেলেনি।
৮ জুন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ চেন্নাই থেকে ওই ডর্নিয়ের বিমান নিয়ে টহলে বেরিয়েছিলেন উপকূলরক্ষীর বাহিনীর তিন অফিসার ডেপুটি কম্যান্ডাট বিদ্যাসাগর, ডেপুটি কম্যান্ডান্ট সুভাষ সুরেশ ও নেভিগেটর এম কে সোনি। তিন ঘণ্টা পরে বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার ২৩ মিনিট পরে রেডার থেকেও হারিয়ে যায় বিমানটি। উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রের খবর, বিমানটি তখন ছিল করাইকল উপকূলের কাছাকাছি।
পরের দিন থেকেই বঙ্গোপসাগরে টানা তল্লাশি চালাচ্ছে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই ‘সাউন্ড নেভিগেশন অ্যান্ড রেঞ্জিং’ (সোনার) প্রযুক্তি লাগানো নৌবাহিনীর একটি বিশেষ জাহাজ নিয়ে আসা যায়। তাতেই সমুদ্রগর্ভ থেকে বিমানটির কিছু সঙ্কেত পাওয়া যায়।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর কলকাতা আঞ্চলিক দফতরের মুখপাত্র, অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট অভিনন্দন মিত্র রবিবার জানান, যেখানে এখন তল্লাশি চলছে, সেখানে সমুদ্র খুব গভীর। তাই কাজ চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। ডুবোজাহাজ কাজে লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে বিমানের খোঁজে ডর্নিয়ের বিমান নির্মাতা সংস্থারও সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। কী ভাবে তারা সাহায্য করবে, তা জানাননি বাহিনীর কর্তারা।
শনিবারেই করাইকল উপকূলের কাছে সাগরে তেলের সন্ধান মিলেছে। সেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে সেই নমুনা ওই বিমানের নয় বলেই জানতে পেরেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy