প্রতীকী ছবি।
কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে যখন আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের সঙ্গে লড়ছে ভারত, তখন নতুন করে অস্বস্তিতে পড়তে হল নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। সমস্যাটি এতটাই জটিল যে সরকার না পারছে চুপ থাকতে, না পারছে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলতে।
গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদের ‘হাই সিকিওরিটি জোন’, সেক্টর এফ এইট এলাকা থেকে মুম্বই-এর জনৈক শেখ নবি আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পাক পুলিশ। অভিযোগ, তিনি ভারতের হয়ে চরবৃত্তি করতে পাকিস্তানে এসেছেন। মুখে ভারতীয় বললেও তাঁর কাছে সফর সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পাক পুলিশ।
ঘটনার পর বারবার প্রশ্ন করা সত্ত্বেও এই নবি আহমেদ সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সাউথ ব্লকের সংশ্লিষ্ট কর্তারা। যেটুকু জানা গিয়েছে তা হল, এই ব্যক্তি মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী (পূর্ব)-য় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর পাসপোর্টেও ওই ঠিকানাই রয়েছে। তবে স্থানীয় থানার বক্তব্য অনুসারে, পাঁচ মাস আগেই ওই ঠিকানা ছেড়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন যোগেশ্বরী (পশ্চিম)-এর কোনও অঞ্চলে। তবে মুম্বই ছেড়ে কেন তিনি ইসলামাবাদের ভিআইপি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, তার কোনও ব্যাখ্যা ভারত সরকারের কাছে জানা নেই বলেই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোথায় স্বজন, দিশাহারা শহর
একটি সূত্রের দাবি, কোনও ভাবেই সরকারের গোয়েন্দা শাখার সঙ্গে এই ব্যক্তির যোগাযোগকে মানতে নারাজ সাউথ ব্লক। প্রাথমিক ভাবে এই নিয়ে তাই কোনও রা-ও কাড়তে চাওয়া হয়নি। কিন্তু চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার বাধ্য হয়েছে নড়েচড়ে বসতে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ। আজ বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার গোটা বিষয়টি জানতে চেয়েছেন পাক সরকারের কাছে। ওই ব্যক্তি সত্যিই ভারতীয় কিনা, সেটা আগে যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে হাইকমিশনারকে। যদি তিনি ভারতীয় হন, তা হলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ার জন্য আবেদন করা হবে।
আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের (আইসিজে) কাছে পাকিস্তানের তরফে আর্জি জানানো হয়েছে, কুলভূষণ মামলার দ্রুত শুনানি করা হোক। পাক বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আইসিজে-র কাছে একটি চিঠি লিখে বলা হয়েছে, আগামি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টির নিষ্পত্তি চাইছে তারা। নভেম্বরে আইসিজে-র বিচারকদের রদবদল হবে। তার আগেই কুলভূষণ কাণ্ডের নিষ্পত্তি চাইছে ইসলামাবাদ। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল আসথার আওসফ আলি নিজেই দেশের হয়ে পরবর্তী শুনানিতে অংশ নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy