Advertisement
০৩ মে ২০২৪

সমালোচনার জবাব দিতে স্মৃতি ফেসবুকে

টুইটারের জবাব এল ফেসবুকে। দু’দিন আগে ‘ডিয়ার’ শব্দটি ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী অশোক চৌধুরি ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৬ ০৯:৫৫
Share: Save:

টুইটারের জবাব এল ফেসবুকে।

দু’দিন আগে ‘ডিয়ার’ শব্দটি ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী অশোক চৌধুরি ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। কেন তাঁকে অশোক চৌধুরি ‘ডিয়ার’ বলে সম্বোধন করেছেন টুইটারে তা জানতে চেয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি করেন স্মৃতি। ‘ডিয়ার’ বলায় স্মৃতির এ ভাবে ফোঁস করে ওঠার পিছনে শিক্ষামন্ত্রীর উচ্চশিক্ষার অভাবকেই দায়ী করে সমালোচনায় সরব হন অনেকেই। তারপরেই গতকাল রাতে নিজেকে ‘আন্টি ন্যাশনাল’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ফেসবুক পোস্টটি করেন স্মৃতি। নিজের বক্তব্যে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি মহিলা এবং সফল। সেই কারণেই তাঁকে এ ভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।

স্মৃতির কথায়, ‘‘ছোটবেলা থেকে মেয়েদের বলা হয় রাস্তা-ঘাটে ছেলেরা অযাচিত ভাবে আলাপ করতে চাইলে তাদের সঙ্গে ঝামেলায় না জড়িয়ে সোজা হেঁটে বাড়ি চলে আসবে। বাড়ির লোকেরাই পরামর্শ দেন, যতই খারাপ লাগুক না কেন ছেলেদের কথার কোনও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’’ স্মৃতি জানাচ্ছেন, কোনও কোনও মেয়ে বিদ্রোহী হয় ( যেমন আমি)। তারা প্রশ্ন করে-কেন প্রত্যুত্তর দেব না? কেন নিজের মুখ বন্ধ রাখতে হবে? এ ভাবে মহিলাদের উপর আরোপিত বাধানিষেধের পিছনে সমাজের মানসিকতাকেই দায়ী করেছেন স্মৃতি। তাঁর কথায়, ‘‘বলা হয়, এতে কোনও লাভ নেই। কারণ মেয়েদেরই ক্ষতি হবে। ছেলেদের কিছুই হবে না।’’ আর সেই কারণে এখনও কেবল মহিলা হওয়ার অপরাধে কাজের ক্ষেত্রে মহিলাদের অনেক বেশি সমস্যা ও লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হতে হয়। সফল কর্মরত মহিলাদের পুরুষ সহকর্মীরা এক জোট হয়ে এক

কোণে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। স্মৃতির বক্তব্য, ‘‘মহিলারা তখনই সফল হন যাঁরা নিজেদের গন্ডিকে পেরিয়ে যেতে পারেন।’’

সমস্যার পাহাড় পেরিয়ে কী ভাবে আজ তিনি বর্তমান জায়গায় পৌঁছেছেন নিজের পোস্টে তাও জানিয়েছেন স্মৃতি। দিয়েছেন নিজের যাত্রাপথের বিবরণ। টেলিভিশনের সফল অভিনেত্রী থেকে রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ। তার পরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পদ প্রাপ্তি। যে পদাধিকার বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কমিটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেও এখনও দেশের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের কাছে তাঁর পরিচয় এক জন অশিক্ষিত মানুষ হিসেবেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

smriti irani Facebook
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE