মোটের উপর পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছে বলিউড। ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজন— বেশির ভাগই বলছেন সলমন খানের জন্য তাঁরা দুঃখিত। গাড়ি চাপা দিয়ে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনার পরে এটুকুই স্বস্তি চুলবুল পান্ডের।
তবে আইন যে আইনের পথে চলবে, সলমন-অনুরাগীদের কেউ কেউ সেটাও কিন্তু ভোলেননি। আর তাই বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা শক্তি কপূর জানিয়েছেন, রায় শুনে খারাপ লেগেছে। তবে শক্তির মন্তব্য, ‘‘আইন তো আইনই। এটা দুর্ভাগ্যজনক। সলমনের পরিবার আইন মেনেই চলে। ১৩ বছর ধরে ওঁরা মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করছেন। সলমন যে পরোপকারী, সেটাও সবার জানা।’’ জেলবন্দি আর এক অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বোন এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ, প্রিয়া দত্তও মনে করিয়ে দিয়েছেন সেই কথা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এমন পরিস্থিতি সামলানো কঠিন। সলমন শক্ত মনের মানুষ। নিশ্চয়ই সেটা পারবে। আদালতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা থাকা উচিত।’’
একমত অভিনেতা-পরিচালক সতীশ কৌশিকও। তাঁর কথায়, ‘‘আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতেই হবে। কিন্তু সলমনের জন্যও প্রার্থনা করব।’’ আয়ুষ্মান খুরানার মতো তরুণ অভিনেতা টুইটারে বলেছেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলুক। আর ওঁর ভক্তরা ওঁর শক্তি হোন। আর এই দুইয়ের মধ্যে তফাৎ গড়ে দিক আদালতের রায়। তার পর দেখি কে জেতে।’’ সলমন বড় প্রিয়জন, কিন্তু দোষও যে করেছেন সেটা মেনে নিয়েই আলিয়া ভট্টের বক্তব্য, ‘‘কাছের মানুষ শাস্তি পেলে কষ্ট হয়। দোষ যদি করেও থাকে, তবু কষ্ট হয়।’’ আবেগপ্রবণ বিজেপি সাংসদ এবং অভিনেত্রী হেমা মালিনীও। যিনি বলেছেন, ‘‘খুব খারাপ লাগছে। প্রার্থনা করছি, ওর যেন বেশি শাস্তি না হয়!’’ কর্ণ জোহরের মতো পরিচালক বুঝেছেন, ‘‘এখন যা-ই বলব, সেটা আবেগের কথা হবে। ঈশ্বর ওদের শক্তি দিন!’’
সলমনকে ভালবাসেন, এমন অনেকেরই আবার আদালতের রায় নিয়ে প্রবল আপত্তি। যুক্তি-টুক্তি সরিয়ে রেখে তাই অর্জুন কপূরের সাফ কথা, ‘‘আদালত কী বলল না বলল, জানি না। সলমনের এটা প্রাপ্য নয়।’’ একই সুর বরুণ ধবনেরও। এঁদের জন্য সুহেল শেঠের সতর্কবার্তা, ‘‘রায়ের সমালোচনা করে বলিউড নিজেরই ক্ষতি করছে। আইনকে সম্মান করুন। আপনারাও সম্মান ফিরে পাবেন। আপনারা নাগরিক, ভগবান নন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy