আগামী মাসে ম্যানিলায় পূর্ব এশিয়া সম্মেলন। সেখানেই সম্ভবত ফের মুখোমুখি হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহেই ভারতে এসেছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই সফরের সময়েই মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি জানিয়েছে দু’দেশ। শেষ পর্যন্ত দু’জনের বৈঠক হলে তা হবে এ বছরে দু’জনের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ।
ওই সম্মেলনে যোগ দিতে ১২ নভেম্বর ম্যানিলা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ফিরবেন ১৪ নভেম্বর। একই সময়ে ম্যানিলায় থাকার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এখন দিন ও সময় ঠিক না হলেও, প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের জন্যও যাতে বৈঠকটি হয়, তার জন্য আগ্রহী উভয় দেশই।
গত কয়েক বছর ধরে যে ভাবে প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় চিন নিজের প্রভাব বাড়াচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন ভারত ও আমেরিকা। বিতর্ক রয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসনকে নিয়েও। চিনকে বার্তা দিতে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগরে যৌথ সেনা মহড়া শুরু করেছে ভারত ও আমেরিকা। যাতে যোগ দিয়েছে জাপান ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলিও। যা নিয়ে একাধিক বার প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বেজিং।
বিদেশ মন্ত্রক মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে মোদী-ট্রাম্পের বৈঠক হলে তা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সাউথ ব্লক সূত্রে বলা হচ্ছে, ওই বৈঠকে মূলত ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা এবং দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের বাড়বাড়ন্ত কী ভাবে রোখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই চিনের মেগা-যোগাযোগ প্রকল্প ওবর (ওবিওআর)-এর পাল্টা চাল হিসেবে এক সুপ্রাচীন সমুদ্রপথকে জাগিয়ে তুলতে সক্রিয় হয়েছে ভারত। ‘এশিয়া-আফ্রিকা গ্রোথ করিডর (এএজিসি)’ নামে এই সমুদ্রপথের লক্ষ্য হল ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবাধ যোগাযোগ তৈরি করা। এই সমুদ্রপথে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হবে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার একাধিক দেশ। চিনকে বার্তা দিতে এই পরিকল্পনায় আগ্রহ দেখিয়েছে আমেরিকাও।
দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের বাড়াবাড়িতে ক্ষুব্ধ আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ। বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছে না ভারতও। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চিনের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে, আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের। ওই এলাকায় চিনা প্রতিপত্তি খর্ব করতে সক্রিয় ভারত। যৌথ মহড়ার পাশাপাশি, কী ভাবে উভয় শিবির চিনের প্রতিপত্তি রুখতে একযোগে কাজ করবে সেই বিযয়টি উঠে আসার সম্ভাবনা মোদী-ট্রাম্পের আলোচনায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy