Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Steel Express

ইস্পাত ও দুরন্তের দেরিতে দুর্ভোগ

যাত্রীদের অভিযোগ, নজরদারির অভাবেই পরিষেবা তলানিতে। ট্রেন সময় মেনে না-চলার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। লাইন পাতার পরিকল্পনার সঙ্গে সমাধানসূত্র খুঁজে রাখা হয়নি কেন, উঠেছে প্রশ্ন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ০৫:২৪
Share: Save:

পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দু’ডজনের বেশি ট্রেন নিয়মিত দেরি করে চলায় আমযাত্রীরা চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়ছেন। সেই সঙ্গে আর্থিক ক্ষতির বহর বাড়ছে রেলের। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিলেও কোথায় গলদ, তার সদুত্তর দিতে পারেনি রেল মন্ত্রক।

ইস্পাত এক্সপ্রেস থেকে শিয়ালদহ-নয়াদিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস-সহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধিকাংশ ট্রেন তিন থেকে চার ঘণ্টা দেরিতে চলছে। রেলকর্তাদের সাফাই, বিভিন্ন এলাকায় নতুন লাইন পাতা হচ্ছে। তাই ট্রেনের জট তৈরি হয়ে যাচ্ছে। মার খাচ্ছে ট্রেনের গতি। প্রশ্ন উঠছে, সারা বছর তো লাইন পাতার কাজ চলে না। তা হলে দেরি কেন? সদুত্তর দিতে পারেননি রেলকর্তারা।

যাত্রীদের অভিযোগ, নজরদারির অভাবেই পরিষেবা তলানিতে। ট্রেন সময় মেনে না-চলার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। লাইন পাতার পরিকল্পনার সঙ্গে সমাধানসূত্র খুঁজে রাখা হয়নি কেন, উঠেছে প্রশ্ন।

ইস্পাত এক্সপ্রেস কলকাতা, খড়্গপুর, ঝাড়গ্রাম, ঘাটশিলা, গিধনি ও টাটানগরের অসংখ্য নিত্যযাত্রীর বাহন। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনটিকে ঠিক সময়ে চালানো এবং একটি বাতানুকূল কামরা বাড়ানোর আর্জি দফায় দফায় জানিয়েও লাভ হয়নি।

বেহাল দশা শিয়ালদহ-নয়াদিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেসেরও। কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত তাড়াতাড়ি পৌঁছনোর জন্য ট্রেনটি চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দেখভালের অভাবে ট্রেনটির পরিষেবা তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে অভিযোগ। অথচ এই ট্রেনে ‘ডাইনামিক ফেয়ার’। অর্থাৎ ট্রেন ছাড়ার সময় যত এগোবে, ততই বাড়তে থাকবে ভাড়া। ফলে অনেক সময়ে বিমানের চেয়েও বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। অথচ সপ্তাহের পাঁচ দিনই দেরিতে পৌঁছচ্ছে এই ট্রেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE