মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্তীসগঢ়ের কাঁকের ও বস্তার জেলা। যেখানকার বেশিরভাগ স্কুলেই অভাব রয়েছে পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার। তবু তার মধ্যেই চলে পঠনপাঠন। সূত্রের খবর, প্রায় একশোরও বেশি সরকারি স্কুলে এই মুহূর্তে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব রয়েছে। অঙ্ক, ইংরেজির মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই নড়বড়ে ভিত নিয়ে স্কুলের গণ্ডি পেরোচ্ছে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী। এ বার তাই পড়ুয়াদের অঙ্কের মতো একটি জরুরি বিষয় শেখাতে বিশেষ প্রযুক্তির দ্বারস্থ হচ্ছে স্কুলগুলি।
সহজ হিন্দি ভিডিও দেখানোর মাধ্যমে বুনিয়াদি অঙ্কের ভিত গড়ে দেওয়ার এই ভাবনা প্রথম আসে কাঁকেরের জেলাশাসক শাম্মি আবিদির মাথায়। নতুন এই প্রযুক্তিটির নাম দেওয়া হয়েছে সেতু (ব্রিজ)। শুধু মাত্র ছাত্রদেরই নয়, শিক্ষকদেরও এই ‘সেতু’-র মাধ্যমেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষকদেরও স্কুল পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত বুনিয়াদি অঙ্কের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এই মুহূর্তে প্রায় ১০০টিরও বেশি বারো ক্লাসের স্কুলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলাফল হাতেনাতে মিলেছে বলে জানাচ্ছেন আবেদি। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই শুরু করা হয়েছে অঙ্ক প্রশিক্ষণের এই বিশেষ ক্লাস, যা এই মাসের মাঝামাঝি শেষ হওয়ার কথা। মূলত নবম শ্রেণির পড়ুয়াদেরই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া প্রাথমিক ও সেকেন্ডারি শিক্ষকদের জন্য সাপ্তাহিক ভিত্তিতে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভিডিও বক্তৃতার ক্ষেত্রে যে বিশেষ স্ক্রিন কাস্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, এ ক্ষেত্রেও সেই রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ‘বিদ্যা মিতান’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছে ছত্তীসগঢ় সরকার। যার মাধ্যমে জেলার দশ ক্লাস ও বারো ক্লাসের স্কুলগুলিতে নতুন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় আনা স্কুলগুলিতে পড়ানোর জন্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারাও আবেদন করতে পারেন। তাতে শিক্ষক ঘাটতির সমস্যা অনেকটাই মিটেছে। তবে ‘সেতু’-র মতো প্রযুক্তির চাহিদা কমবে না বলেই ধারণা আবেদির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy