স্বাতী মালিওয়াল। ফাইল চিত্র।
পুরোটাই নাকি ‘সাজানো নাটক’। রাজধানীর রাস্তায় মধ্যরাতে মত্ত গাড়িচালকের হাতে দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালের হেনস্থার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা।
বৃহস্পতিবার স্বাতীর অভিযোগের জেরে দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনাকে এই প্রসঙ্গে এক হাত নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ পাল্টা মুখ খুলেছেন বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী। বিজেপি-নেত্রী শাজ়িয়া ইলমি টুইট করে বলেছেন, ‘একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আম আদমি পার্টি স্টিং অপারেশন চালিয়েছে। যার উদ্দেশ্য একমাত্র দিল্লি পুলিশকে কলঙ্কিত করা।’ টিআরপি বাড়ানোর জন্য একটি বেসরকারি চ্যানেল কেন এই কাজ করবে এবং রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে একটি রাজনৈতিক দল নারী-নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয়কে কেন হাতিয়ার করবে, এ নিয়েও সরব শাজ়িয়া। আর এক বিজেপি নেতা হরিশ খুরানা অভিযোগ তুলেছেন, ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পরেও স্বাতী কেন চুপ ছিলেন।
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের দৌলতে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সে দিন মধ্যরাতে ফুটপাথে দাঁড়ানো স্বাতীর কাছে গাড়িটি এসে থামে। পরে স্বাতীকে রাস্তায় নেমে গিয়ে চালকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। নেটিজ়েনদের অনেকের প্রশ্ন, কেন ওই ভাবে স্বাতী নিজে এগিয়ে গিয়ে কথা বলেছেন। কেনই বা জানলা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে চালককে পাকড়াও করতে যান তিনি। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্বাতী। তিনি বলেছেন, আপ নেত্রী হওয়ার জন্যেই এই ধরনের কথা উঠছে। এখানেও নির্যাতিতার ঘাড়ে দোষ চাপানোর নোংরা খেলা চলছে।
বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সম্প্রতি দিল্লির কানঝাওয়ালা এলাকায় এক তরুণীকে গাড়ির চাকায় বেশ কয়েক কিলোমিটার টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল বেপরোয়া একটি গাড়ি। স্বাতীর দাবি, সেই ঘটনার পরে রাজধানীর রাস্তায় মেয়েদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে সে দিন কানঝাওয়ালা, মুনিরকা, মুন্ডকা, হৌজ় খাস এলাকায় তিনি ঘুরে দেখছিলেন। কাছেই ছিল তাঁর দলবল। তখনই মত্ত অবস্থায় স্বাতীকে হেনস্থা করে হরিশচন্দ্র নামে এক গাড়িচালক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy