গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-য় চিনা ড্রোনের মোকাবিলায় এ বার নয়া ড্রোন পেতে পারে ভারতীয় সেনা। ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিমান থেকে উড়ানে সক্ষম ওই ড্রোন নির্মাণের বার্তা দিয়েছে। পেন্টাগনের তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লিকে।
আমেরিকার সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব এলি র্যাটনার (ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ সংক্রান্ত কর্মসূচিকে সহায়তা উদ্দেশ্যে আমরা যৌথ ভাবে ড্রোন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ড্রোন ভারত রফতানিও করতে পারবে।
তবে জো বাইডেন সরকারের এই প্রস্তাব নয়াদিল্লি শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মনে। সামরিক উৎপাদনে ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান এ ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে হানাদার প্রিডেটর ড্রোন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর, আল কায়দা প্রধান আয়মান আর জাওয়াহিরি, সিরিয়ার আল কায়দা প্রধান সেলিম আবু আহমেদের মতো অনেকেই গত দু’দশকে প্রিডেটর ড্রোনের ‘শিকারের’ তালিকায় রয়েছেন। নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোন পেতে উৎসাহী ছিল ভারতীয় সেনাও। কিন্তু বাধ সাধে গত বছর মোদী সরকারের একটি পদক্ষেপ। প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মোট ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই তালিকায় রয়েছে বিদেশি ড্রোনও। তবে যৌথ উদ্যোগে ড্রোন বানানোর প্রস্তাব এ ক্ষেত্রে বাধা হবে না বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy