Advertisement
২৬ মার্চ ২০২৩

কাশ্মীরে নেই আইএসআইএস: পুলিশ

বহু বিক্ষোভের সাক্ষী কাশ্মীর উপত্যকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া, জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ সেখানে প্রায় নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল এক সময়ে। কিন্তু ঈদের পর থেকে উপত্যকায় বিভিন্ন বিক্ষোভে ইরাকি জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসের ব্যানার-পতাকা দেখে সজাগ হয়ে উঠেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। প্রশ্ন উঠেছিল, আল-কায়দারই সমগোত্রীয় আইএসআইএস কি তবে কাশ্মীরেও ঘাঁটি গাড়ছে?

শ্রীনগরে আইএসআইএস ব্যানার। —নিজস্ব চিত্র

শ্রীনগরে আইএসআইএস ব্যানার। —নিজস্ব চিত্র

সাবির ইবন ইউসুফ
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০৩:২৪
Share: Save:

বহু বিক্ষোভের সাক্ষী কাশ্মীর উপত্যকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া, জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ সেখানে প্রায় নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল এক সময়ে। কিন্তু ঈদের পর থেকে উপত্যকায় বিভিন্ন বিক্ষোভে ইরাকি জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসের ব্যানার-পতাকা দেখে সজাগ হয়ে উঠেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। প্রশ্ন উঠেছিল, আল-কায়দারই সমগোত্রীয় আইএসআইএস কি তবে কাশ্মীরেও ঘাঁটি গাড়ছে?

Advertisement

ঈদের নমাজের পরেই শ্রীনগরের পুরনো শহরে মুখোশ পরা বিক্ষোভকারীদের হাতে দেখা গিয়েছে আইএসআইএস ও আল-কায়দার ব্যানার-পোস্টার। অনেকে ওই ব্যানার-পতাকা দিয়েই তাদের মুখ ঢেকে রেখেছিল। তারা ইজরায়েল-বিরোধী ও প্যালেস্তাইনপন্থী স্লোগানও দিয়েছে। ঈদের নমাজের পরে গাজা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইজরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন কট্টরপন্থী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। সেই বিক্ষোভেই ইরাকি জঙ্গি সংগঠনের ব্যানার-পতাকা দেখা গিয়েছে। সে খবর প্রকাশও করেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ।

জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, আল-বদরের সঙ্গে আল-কায়দার যোগ আছে বলে মনে করেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকায় আল-কায়দা বা আইএসআইএসের কোনও উপস্থিতি নেই বলে সাফ জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের আইজি এ জি মির। তাঁর দাবি, “নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে যে সব যুবক পাথর ছুড়ছিল তারাই আল-কায়েদা ও আইএসআইএসের ব্যানার-পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এদের পাক জঙ্গি সংগঠনগুলিই মদত দেয়।” তদন্ত করে পুলিশ উপত্যকায় আল-কায়দা বা আইএসআইএসের গতিবিধির কোনও খবর পায়নি বলে জানিয়েছেন মির। একই মত সেনাবাহিনীরও।

তবে কেন হঠাৎ আইএসআইএস-আল-কায়দার ব্যানার-পতাকা দেখা গেল বিক্ষোভে? গোয়েন্দাদের একাংশের মতে, নিরাপত্তাবাহিনী তথা ভারত সরকারের উপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে পাক জঙ্গিরা।

Advertisement

এক সেনা গোয়েন্দা অফিসারের কথায়, “২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরে যাবে। সেদেশ থেকে আল-কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা কাশ্মীরে চলে আসছে, এই ধারণাই তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।” তবে জুন মাসে মুসলিমদের কাশ্মীরে জেহাদে যোগ দেওয়ার ডাক দিয়ে একটি ভিডিও প্রচার করেছিল আল-কায়দা। সেটিকে গুরুত্ব দিয়েই বিচার করছেন গোয়েন্দারা। আল-কায়দার কাশ্মীর নিয়ে এই বার্তা উপত্যকায় সন্ত্রাসের উপরে প্রভাব ফেলবে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এক অফিসারের কথায়, “কাশ্মীরে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তাই যে কোনও মূল্যে অস্থিরতা বাড়াতে চায় জঙ্গিরা। তা বরদাস্ত করা হবে না।”

সংসদেও জঙ্গি-বার্তা

ভারত থেকে অনেকেই ইরাকি জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসে যোগ দিচ্ছে বলে আজ সংসদে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ রাজীবপ্রতাপ রুডি। কেন্দ্রকে ওই সংগঠনটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.