Advertisement
১৯ মে ২০২৪

বাজারে সুগন্ধি চাল ফেরাতে চায় ত্রিপুরা

ত্রিপুরার লুপ্তপ্রায় সুগন্ধি চালের বীজের সংরক্ষণ, উৎপাদন ও উৎপাদিত চাল ফের বাজারজাত করার দিকে নজর দিল রাজ্যের কৃষি দফতর।

আশিস বসু
আগরতলা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৬ ০৩:৫৪
Share: Save:

ত্রিপুরার লুপ্তপ্রায় সুগন্ধি চালের বীজের সংরক্ষণ, উৎপাদন ও উৎপাদিত চাল ফের বাজারজাত করার দিকে নজর দিল রাজ্যের কৃষি দফতর। কেন্দ্রীয় ‘পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা’র আর্থিক সাহায্যে ওই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষি দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা ফণীভূষণ জামাতিয়া।

খাসা, সুগন্ধি সম্রাট, গোবিন্দভোগের মতো সুগন্ধি চাল এক সময় ত্রিপুরার স্থানীয় বাজারগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যেত। সেই ছবিটা এখন বদলে গিয়েছে। চাষিরাও সে সব চাল উৎপাদনে উৎসাহী নন। ফণীভূষণবাবু জানান, রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করে, পরম্পরাগত পদ্ধতিতে ওই চাল উৎপাদনের জন্য চাষিদের উৎসাহিত করা হবে। এই মরসুম থেকেই কৃষি বিভাগ ওই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে পরম্পরাগত পদ্ধতিতে সুগন্ধি চালের মতো খাদ্যশস্য উৎপাদন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কৃষি দফতরের বিশেষজ্ঞরা তা নিয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। পাশাপাশি উপজাতি-প্রধান গ্রামে চলছে প্রচারও। সুগন্ধি চালের সঙ্গে অড়হর ডাল, ভুট্টা, আদা, হলুদ, সর্ষে চাষেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

কৃষি দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘চাল ছাড়া যে সব শস্য সহজে নষ্ট হয় না এবং বাজারে যার চাহিদা রয়েছে, তা বিবেচনা করে সে সব শস্যের চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় আগামী তিন বছর ধরে ওই কাজ করা হবে। উৎপাদিত শস্য বাজারে বিক্রির দায়িত্ব থাকবে একটি নির্দিষ্ট সংস্থার উপর।

ফণীভূষণবাবু আরও জানান, জৈব সার প্রয়োগ করে চাষের জন্য ২৫টি ব্লককে চিহ্নিত করা হয়েছে। চাষিদের ছোট ছোট গোষ্ঠী গড়ে চাষের ব্যবস্থা করা হবে।

জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত শস্যের বিপণনের জন্য ‘বায়ো-ব্র্যান্ডিং’ও করবে রাজ্য সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Aromatic rice Tripura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE