Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
US Predator Drones

‘পন্নুন-কাঁটা’ সরল, নয়াদিল্লি পাচ্ছে ‘প্রিডেটর’

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, এতে ভারতের সামরিক শক্তি বাড়বে। চিন সীমান্ত থেকে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও তীক্ষ্ণ নজরদারি চালাতে পারবে ভারত।

US Predator Drones

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৪৯
Share: Save:

‘পন্নুন কাঁটা’য় বিঁধে ছিল ভারত-আমেরিকা ড্রোন চুক্তির ভবিষ্যৎ। অবশেষে সেই কণ্টকমুক্তি ঘটল। খুব শীঘ্রই নয়াদিল্লির হাতে আসতে চলেছে আমেরিকার ‘প্রিডেটর ড্রোন’ এমকিউ-নাইন বি।

ভারতকে আধুনিক এই সমরাস্ত্র বিক্রিতে বাদ সেধেছিলেন সে দেশের আইনসভা সেনেটের ‘ফরেন রিলেশনস কমিটি’র চেয়ারম্যান তথা আমেরিকান সেনেটের প্রভাবশালী সেনেটর বেন কার্ডিন। তবে জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরে সেই আপত্তি তুলে নিলেন তিনি। ফলে দ্রুতই ভারতের হাতে আসছে ৩১টি আধুনিক ‘প্রিডেটর ড্রোন’। প্রসঙ্গত এই ড্রোন ছাড়াও আরও কিছু সামরিক সরঞ্জাম আমেরিকা থেকে কেনার আবেদন করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে মোট ৩৯৯ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চেয়েছিল ভারত। সব সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আমেরিকান কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, এতে ভারতের সামরিক শক্তি বাড়বে। চিন সীমান্ত থেকে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও তীক্ষ্ণ নজরদারি চালাতে পারবে ভারত। প্রয়োজনে প্রাণহানির আশঙ্কা ছাড়াই শত্রুপক্ষকে জব্দও করতে পারবে। সূত্রের খবর, এমকিউ-৯বি ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিক্সকে এই ছাড়পত্রের বিষয়ে জানানো হয়েছিল গত কালই। আমেরিকার ওই সংস্থাও ভারত সরকারকে তা জানিয়েছিল। আর এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করল সে দেশের প্রশাসন।

কী কারণে আমেরিকার পক্ষ থেকে স্থগিত রাখা হয়েছিল এই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক রফতানি? সম্প্রতি সে দেশের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, আমেরিকার মাটিতে এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে ভারত। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই ভারতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা। এর পরেই ড্রোন সরবরাহ নিয়ে আপত্তি তোলেন কার্ডিন। তাঁর দাবি ছিল, পুরো বিষয়টির সঠিক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে ড্রোন সরবরাহ করা উচিত হবে না ওয়াশিংটনের। শর্ত ছিল, আমেরিকার বিচারবিভাগের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে নয়াদিল্লিকে।

এ দিন কার্ডিন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। বাইডেন প্রশাসন তাঁকে জানিয়েছে, পন্নুনকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়াদিল্লি। এর পরেই আমেরিকান সেনেটর নিজের অবস্থান বদল করেন। তার পর ভারত-আমেরিকান ড্রোন চুক্তিতে সবুজ সঙ্কেত মিলল। ৩১টি নজরদারি ড্রোনের মধ্যে ১৫টি পাবে নৌসেনা এবং ৮টি করে পাবে বায়ুসেনা এবং সেনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

USA India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE