নদীর তীরে জলের খোঁজ। কটনপুরে। ছবি: শীর্ষেন্দু সী।
পাঁচ বছরেও সমস্যা কাটল না কটনপুর গ্রামের। এখনও গরমের মরসুমে শুকিয়ে যাওয়া নদীর তীরের বালি খুঁড়ে পানীয় জলের হদিস পেতে মরিয়া হন গ্রামবাসীরা।
এপ্রিলে অসমে বিধানসভা নির্বাচন। এখন তাই রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের গত পাঁচ বছরের কাজের হিসেব কষছেন ভোটাররা। করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি বিধানসভার প্রত্যন্ত কটনপুর গ্রামের ভোটাররাও ব্যস্ত তাতেই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতি বার ভোট চাইতে আসেন প্রার্থীরা। অনেক কিছু আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু জেতার পর ভুলে যান সব কিছুই। তাই প্রচণ্ড গরমে পানীয় জল পেতে খুঁড়তে হয় নদী তীরের বালি। বছরের পর বছর ধরে এ ভাবেই চলছে।
করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি বিধানসভা সমষ্টির রাস্তাঘাটের অবস্থাও বেহাল। এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক মণিলাল গোয়ালা পূর্ত বিভাগের পরিষদীয় সচিব। কয়েক দিন আগে ওই এলাকাতেই জলসেচ দফতরের মন্ত্রী চন্দন সরকারের কনভয় ভাঙা রাস্তায় আটকে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পর, মণিলালবাবু যে জনতার সব সমস্যার সমাধান করেছেন— সেই দাবি করতে পারবেন না কংগ্রেসেরও অনেকে। পাথারকান্দি বিধানসভার কটনপুর গ্রামের ছবিটা আরও ভয়াবহ। গরমের সময় নদীর তীরের বালিতে গর্ত খুঁড়ে জল সংগ্রহ করেন এলাকাবাসী। কটনপুর গ্রামের পাশেই রয়েছে লঙ্গাই নদী। সেই জল ফুটিয়ে পান করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সমষ্টির বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিবের কাছে পানীয় জল প্রকল্প স্থাপনের জন্য বার বার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাঁরা জানান, নদীর জল শুকিয়ে গেলে আশপাশের পুকুর, কুয়োর জলও কমে যায়। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এলাকাবাসীর বক্তব্য, শুধু পরিষদীয় সচিব বা বিধায়ক নন, পানীয় জলের সঙ্কট কাটানোর বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদেরও বিশেষ নজর নেই। এ বিষয়ে মণিলালবাবুর বক্তব্য, ‘‘সব সমস্যা এক বারে পূরণ করা যায় না। সেখানে বর্ষাকালে জলের অভাব থাকে না। তবে দ্রুত ওই সমস্যা মেটাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy