Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
Power

বিদ্যুতে সংস্কার: সবচেয়ে বেশি উৎসাহ ভাতা বঙ্গকে

মোট ১২টি রাজ্য মোদী সরকারের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কারের নানা শর্ত মেনে নিয়ে বাড়তি ঋণ করার অনুমতি বাবদ উৎসাহ ভাতা পেয়েছে। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ সকলের আগে।

power.

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ০৮:২৯
Share: Save:

প্রায় সব বিষয়েই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত লেগে রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতিদিন বঞ্চনার অভিযোগ তুলছেন। কেন্দ্রের কথা মতো চলতেও নারাজ নবান্ন। তবে তার মধ্যেইমোদী সরকারের দাওয়াই মেনে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কার করে পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রের থেকে সব চেয়ে বেশি উৎসাহ ভাতা জিতে নিল।

মোট ১২টি রাজ্য মোদী সরকারের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কারের নানা শর্ত মেনে নিয়ে বাড়তি ঋণ করার অনুমতি বাবদ উৎসাহ ভাতা পেয়েছে। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ সকলের আগে। রাজস্থান ও অন্ধ্রপ্রদেশ রয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩-এর জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ১২টি রাজ্যকে মোট ৬৬,৪১৩ কোটি টাকা বাড়তি ঋণের অনুমতি দিয়েছিল। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একাই ১৫,২৬৩ কোটি টাকা বাড়তি ঋণের সুবিধা পেয়েছে।

অতীতে পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল, বিদ্যুৎ আইনে সংশোধন করে কেন্দ্র রাজ্যকে বিদ্যুৎ বিলে ভর্তুকি তুলে দেওয়ার চাপ দিচ্ছে। চাষিদের উপরে বোঝা চাপাতে বলছে। এখন বাড়তি ঋণ করার জন্য মোদী সরকারের কী কী শর্ত মেনে নিতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে?

অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, যাবতীয় সংস্কারের মূল লক্ষ্য ছিল পয়সা দিয়ে বিদ্যুৎ কেনার ব্যবস্থা চালু করা। যাতে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির হাল ফেরে। সংস্কারের শর্ত ছিল, রাজ্য সরকার বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতে চাইলে তা সরাসরি গ্রাহককে দিতে হবে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপালে চলবে না। রাজ্যগুলি নিজের ঘাটতি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার খাতায় চাপিয়ে রাখত। বণ্টন সংস্থাগুলির লোকসানের দায় রাজ্যগুলিকে নিজের কাঁধে তুলে নিতে বলা হয়েছিল। রাজ্য সরকার ও বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির কার মাথায় কত ভর্তুকির ঘাটতি রয়েছে, সে বিষয়ে স্বচ্ছতা আনা। এর সঙ্গে চাষি-সহ সকলের জন্য মিটার ব্যবস্থা চালু করা, বিদ্যুৎ সংবহনে ক্ষতির মাত্রার কমিয়ে আনা, সরকারি দফতর ও স্থানীয় সংস্থাগুলিকে বিদ্যুতের বিল মেটাতে বাধ্য করা, সরকারি দফতরে প্রিপেইড মিটার বসানোর মতো শর্তও ছিল।

দু’বছর আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্রের কথা মতো বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কার করলে রাজ্যগুলিতে তার জিডিপি-র ০.৫ শতাংশ বাড়তি ঋণের অনুমতি দেওয়া হবে। চার বছর এই সুবিধা থাকবে। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের কথা মতো বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কারে রাজি হয়েছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সুপারিশ মতো অর্থ মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্যকে সেই ভিত্তিতে বাড়তি অর্থ ঋণের অনুমতি দিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষেও এই সুবিধা চালু থাকবে। যে সব সংস্কার বাকি রয়েছে, রাজ্যগুলি যাতে সেই কাজ শেষ করতে পারে। চলতি আর্থিক বছরে এই বাবদ ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE