ভুয়ো মেসেজ ছড়ানো আটকাতে নতুন পদক্ষেপ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভুয়ো লিঙ্ক এবং মিথ্যা মেসেজ ছড়ানো রুখতে বিশেষ প্রযুক্তি আনছে সংস্থা। সেগুলি এখন পরীক্ষামূলক স্তরে আছে। এই স্তর সফল ভাবে পেরোলে তা গ্রাহকেরা ব্যবহার করতে পারবেন।
বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি এ রাজ্য-সহ দেশের নানা প্রান্তে ছেলেধরা গুজবের জেরে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। সেই গুজব নেট মাধ্যমে মূলত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে সতর্ক করে। তার পরেই এই নতুন প্রযুক্তি আনার কথা শোনা যাচ্ছে। এর আগেও ফেসবুকে বিভিন্ন অশালীন ছবি ও কথা ঘিরে সংঘর্ষ বেধেছে। এ রাজ্যেও তার উদাহরণ আছে। তখন ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, দেশের সম্প্রীতি ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কাজকে তাঁরা প্রশ্রয় দেবেন না।
গুজব ও মিথ্যা খবর ঠেকাতে বিচার বিভাগও তৎপর। সম্প্রতি দিল্লির এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মিথ্যে খবর ইউটিউবে ছড়িয়েছিল। আপত্তি ওঠার পরেও তা না-সরানোয় ইউটিউবকে সাড়ে ন’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
নতুন কী ব্যবস্থা আসছে?
সূত্রের খবর, নতুন ব্যবস্থায় সন্দেহজনক লিঙ্ক থাকলে সে ব্যাপারে গ্রাহক সতর্কবার্তা পাবেন। কোনও বার্তা ফরোয়ার্ড করা হলে সেটাও বোঝা যাবে। গ্রুপ অ্যাডমিনদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
যদিও এতে কতটা গুজব ঠেকানো যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। তাঁদের মতে, ইউটিউবে এখনও প্রচুর বিদ্বেষমূলক ভিডিয়ো রয়েছে।
ফোনের মেসেজ বহু লোকে ঠিকমতো না-পড়ে বা না-বুঝেই ফরোয়ার্ড করে দেয়।
রাজ্য সরকারের সাইবার মামলার বিশেষ কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গুজব বা মিথ্যে কথা রটিয়ে কোনও অপরাধ হলে তার তদন্তে যথাযথ সহযোগিতা মেলে না। এ ক্ষেত্রে ব্রিটেন নতুন আইন এনেছে। তাতে যদি তদন্তকারীদের সাহায্য করতে সংস্থাগুলি বাধ্য। আমাদের এখানেও সেই আইন দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy