Advertisement
০৫ মে ২০২৪

টুইটারে ‘ব্লক’ হলেন মোদীই

এই পরিস্থিতিতে রাত গড়াতে মোদীর হয়ে সাফাই দিতে হল বিজেপিকে। দলের তথ্য-প্রযুক্তি মোর্চার প্রধান অমিত মালব্য বিবৃতিতে বললেন, প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেন।

নরেন্দ্র মোদী।

নরেন্দ্র মোদী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩৭
Share: Save:

দেশে ফিরলেন, কিন্তু গৌরী লঙ্কেশ হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন না প্রধানমন্ত্রী। টুইটারে ‘আনফলো’ও করলেন না সেই ব্যক্তিকে, যিনি গৌরী-হত্যায় অশালীন ভাষায় ‘উল্লাস’ করেছিলেন। যার ফলে আজ টুইটারে নরেন্দ্র মোদীকেই ‘ব্লক’ করা শুরু করলেন প্রতিবাদীদের একাংশ।

এই পরিস্থিতিতে রাত গড়াতে মোদীর হয়ে সাফাই দিতে হল বিজেপিকে। দলের তথ্য-প্রযুক্তি মোর্চার প্রধান অমিত মালব্য বিবৃতিতে বললেন, প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেন। তাঁর ‘ফলো’ করাটা কারও চরিত্রের শংসাপত্র নয়। সেই ব্যক্তি কী আচরণ করবেন, সেটাও নিশ্চিত করা যায় না। মালব্য বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী (টুইটারে) রাহুল গাঁধীকে ‘ফলো’ করেন, যিনি লুঠ ও জালিয়াতিতে অভিযুক্ত। অরবিন্দ কেজরীবালকেও ‘ফলো’ করেন, যিনি তাঁকে অপমান করে থাকেন। যাঁর সমর্থকেরা বিরোধীদের ধর্ষণ ও হেনস্থার হুমকি দেন। অথচ রাহুল বা কেজরীবালকে এই প্রশ্ন করা হয় না। অতীতে অনেক প্রধানমন্ত্রী বাক্-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন। কিন্তু মোদী তা করেন না। কাউকে ‘আনফলো’ করেন না।’’

ওই অশালীন টুইট করা গুজরাতের ব্যবসায়ী নিখিল দাধিচ নিজেকে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ বলে থাকেন। মোদী তাঁকে ‘ফলো’ করেন বলে ‘গর্বিত’ও। নিখিলের টুইটের পরেই প্রশ্ন ওঠে, এই ব্যক্তির কী গুণ আছে, যে খোদ প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ‘ফলো’ করেন? অবিলম্বে নিখিলকে ‘আনফলো’ করুন মোদী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা না করায় আজ ছড়িয়ে পড়তে থাকে ‘ব্লক নরেন্দ্র মোদী’ হ্যাশট্যাগ। মোদীর ‘ফলোয়ার’ কমতে থাকে টুইটারে। দেশে ফিরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই দলের বিবৃতি।

আজ সকালে নতুন বিতর্ক তৈরি হয় নিখিলের সঙ্গে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির ছবি প্রকাশ্যে আসায়। পরিস্থিতির চাপে নিখিল আজ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী ফলো করায় গর্বিত’ কথাটি বাদ দেন। অভিযোগ করেন, তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের দাবি, পর্দার আড়ালে থেকে মোদী কাদের দিয়ে হামলা চালান, তা স্পষ্ট হচ্ছে। এআইসিসি-র সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের প্রধান দিব্যা স্পন্দনা বলেন, ‘‘গাঁধীজির হত্যার পরে আরএসএস মিষ্টি বিতরণ করেছিল। সেই কারণেই সর্দার পটেল তাদের নিষিদ্ধ করেন।’’

গত কাল দিল্লির প্রেস ক্লাবে ছিল সাংবাদিকদের প্রতিবাদসভা। সেখানে সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, কানহাইয়া কুমারের মতো নেতারা কী করে হাজির হলেন, কেনই বা বিজেপির কাউকে ডাকা হল না— তা নিয়ে সাংবাদিকদের একাংশের মধ্যে যেমন অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তেমনই প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রের শাসক দল। অনেকের মতে, নজর ঘোরাতেই বিজেপি কৌশলে টেনে আনল রাহুলদের। গৌরী-হত্যার নিন্দা করে আজ সহিষ্ণুতার বার্তা দেন প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE