Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Noida Twin Tower

Noida Twin Towers: যমজ ইমারত নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ নয়, বিজেপিকে বিঁধলেন অখিলেশ

২০১৪ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্ট দুই ইমারত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হয়।

রবিবার ন’সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নয়ডার বিতর্কিত সুপারটেক টুইন টাওয়ার।

রবিবার ন’সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নয়ডার বিতর্কিত সুপারটেক টুইন টাওয়ার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২২ ২২:২২
Share: Save:

ন’বছরের লড়াই শেষ। রবিবার ন’সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নয়ডার বিতর্কিত সুপারটেক টুইন টাওয়ার। কিন্তু যাঁরা যমজ ইমারত নির্মাণ করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে বিঁধলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব।

সোমবার বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে অখিলেশ অভিযোগ করেন, বিজেপির চেয়ে বড় মিথ্যেবাদী কোথাও নেই। দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বিজেপি তা এড়িয়ে গিয়েছে বলেই অভিযোগ তুললেন অখিলেশ। তিনি বলেন, ‘‘টুইন টাওয়ার যাঁরা বানালেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করল করল না বিজেপি? হাই কোর্টে কী সওয়াল-জবাব হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দিয়েছে, তারা তা জানেই না। দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্ট দুই ইমারত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হয়। সাত বছর মামলা চলার পর হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে জোড়া ইমারত ভাঙার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

নজিরবিহীন ভাবে রবিবার ‘টুইন টাওয়ার’ ভেঙে দেওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, ওই ইমারত তৈরিতে অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় নয়ডা কর্তৃপক্ষের যে সব আধিকারিকেরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই বা কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। সুপারটেক গোষ্ঠী এবং নয়ডা কর্তৃপক্ষের মধ্যে কী গোপন আঁতাঁত হয়েছিল, সে বিষয়ে তদন্তের করার নির্দেশ দিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে গত বছর বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সিটের সেই তদন্তে উঠে এসেছে নয়ডা কর্তৃপক্ষের ২৬ জন আধিকারিকের নাম। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘টুইন টাওয়ার’-এর পরিবর্তিত নকশায় অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই ২৬ জনের মধ্যে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের ২০ জন ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চার জন কর্মরত। সিটের রিপোর্টের ভিত্তিতেই গত বছর ৪ অক্টোবর সুপারটেকের চার অধিকর্তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। লখনউয়ের ভিজিল্যান্স দফতরও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে ছাড়পত্র দেওয়ায় নয়ডার দমকল বিভাগের তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। যদিও ওই আধিকারিক ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Noida Twin Tower akhilesh yadav
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE