সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে এই ধরনের মিম।
অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেলজয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাঙালির উচ্ছ্বাসে ভাসল ফেসবুক-টুইটার।
সোমবার বিকেল থেকেই সমাজমাধ্যমের নানা মঞ্চে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন অভিজিৎই। গুগল খুঁজে বার করা হয়েছে তাঁর পুরনো লেখা, ইউটিউব থেকে বার করা হয়েছে তাঁর পুরনো বক্তৃতা। তার পর ফেসবুকে হু হু করে শেয়ার হয়েছে সেই সব লেখা, ভিডিয়ো। বিশেষত মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন অভিজিৎ। সেই সংক্রান্ত পুরনো লেখা, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। সম্প্রতি দেশের অর্থনীতির ঝিমিয়ে পড়া অবস্থার জন্য তরুণ প্রজন্মের গাড়ি না কিনে অ্যাপ-ক্যাবে চাপার কারণ দেখিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নির্মলা ও অভিজিৎ দু’জনেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে অর্থমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন কেউ কেউ। অর্থমন্ত্রী অবশ্য জেএনইউ হ্যাশট্যাগ দিয়েই টুইটারে অভিজিতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
টুইটারেও ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে চলে যায় #অভিজিৎবন্দ্যোপাধ্যায়। জেএনইউ-কে দেশবিরোধী তকমা দেওয়ার প্রবণতার বিরুদ্ধে জেএনইউর প্রাক্তনী অভিজিতের সাফল্যকে হাতিয়ার করে টুইটারে সরব হয়েছেন অনেকে। তাঁরা বলেছেন, দেশের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করা মানেই দেশের বিরোধিতা নয়। বরং দেশের ভালর জন্যই তা করা উচিত। এক জনের টিপ্পনী, ‘‘অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিক হলে অক্ষয়কুমার নোটবন্দির ভূমিকায় অভিনয় করবেন!’’
অভিজিতের সম্পর্কে বিশদে জানতেও যে গোটা দেশ উদগ্রীব, তা বোঝা গিয়েছে গুগল ট্রেন্ডসের হিসেবে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সন্ধের মধ্যেই তাঁর বিষয়ে সার্চ হয়েছে এক লক্ষেরও বেশি। সার্চের সংখ্যায় তৃতীয় স্থানে দিল্লি, দ্বিতীয় ত্রিপুরা। প্রথম স্থানে পশ্চিমবঙ্গই। এই গর্বভরা আবেগের মধ্যেও স্বভাবজাত রসবোধ হারায়নি বাঙালি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি কার্টুনে দেখা যাচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ মোবাইল ফোনে বলছেন, “শোনো অভিজিৎ, অমর্ত্যকে বলেছি, তোমাকেও বলছি...নোবেলটা সামলে রেখো।” আর একটিতে দেখা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন, দু’জনেই অভিজিতকে তাঁর পুরস্কার ও ভাবনা, দুটিই আগলে রাখার কথা বলছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy