Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
1993 Mumbai Blasts

মুম্বই বিস্ফোরণে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ইয়াকুব মেমনের সমাধিতে মাজার? তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

২০১৫-য় ফাঁসি দেওয়া হয় মুম্বই বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রী ইয়াকুব মেমনকে। তার পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। মুম্বইয়ের মেরিন লাইন্সের কবরস্থানে শেষকৃত্য হয় তাঁর।

মেরিন লাইন্সে ইয়াকুব মেমনের সমাধিক্ষেত্র।

মেরিন লাইন্সে ইয়াকুব মেমনের সমাধিক্ষেত্র। ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:২১
Share: Save:

১৯৯৩-এ মুম্বই বিস্ফোরণে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ইয়াকুব মেমনের সমাধিস্থল কি সত্যিই মাজারে পরিণত হয়েছে? বিজেপি নেতার তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বার মুম্বই পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিল মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিবসেনা সরকার। পুলিশকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার, ঘাটকোপার পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক রাম কদম নেটমাধ্যমে এই বিষয়ে অভিযোগ তোলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে আক্রমণ করে রাম অভিযোগ করেন, মহাবিকাশ আঘাডী মন্ত্রিসভা ক্ষমতায় থাকাকালীনই সমাধিক্ষেত্রকে বদলে মাজারের রূপ দেওয়া হয়েছে।

বিজেপি বিধায়ক পাশাপাশি দুটি ছবি শেয়ার করেন। তিনি টুইটে লেখেন, ‘উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর সময়কালেই খতরনাক জঙ্গি ইয়াকুব মেমনের সমাধিকে মাজারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সেই ইয়াকুব মেমন, যে ১৯৯৩-এ মুম্বইয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছিল। এটাই কি তাঁর মুম্বইয়ের প্রতি ভালবাসা, দেশের প্রতি কর্তব্য?’ রাম দাবি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

এ নিয়েই এ বার মুম্বই পুলিশকে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের। পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

২০১৫-য় নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি হয় ইয়াকুবের। ’৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অপরাধে তাঁর ফাঁসির সাজা হয়। বিস্ফোরণে মোট ২৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফাঁসির পর ইয়াকুবের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবারের তরফে মুম্বইয়ের মেরিন লাইন্সের কবরস্থানে ইয়াকুবকে সমাধিস্থ করা হয়।

কবরস্থান কমিটির চেয়ারপার্সন শোয়েব খাতিব অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘শুধু ইয়াকুব মেমনই নয়, তাঁর পরিবারের আরও অনেকেরই সমাধি রয়েছে সেখানে। মাটি ধসে যাওয়ার কারণে ওখানে দেওয়াল দেওয়া হয়েছে, আর কিছুই না।’’

তবে শোয়েব মেনে নিয়েছেন, ইয়াকুবের সমাধির আশপাশে আলো লাগানো হয়েছিল। যদিও বিতর্ক শুরুর পরই তা খুলে ফেলা হয়। শোয়েব বলছেন, ‘‘ইয়াকুব মেমন এক জন দেশদ্রোহী। এবং এ রকম মানুষের জন্য সহানুভূতির কোনও জায়গা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE