কাছে: অপর্ণা যাদবের গোশালায় যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
সব ঠিক থাকলে বিজেপির ঘরেই আসতে চলেছেন মুলায়ম সিংহের ছোট বৌমা।
যোগী আদিত্যনাথের শপথ-মঞ্চে দেখা গিয়েছিল মুলায়ম ও তাঁর পুত্র অখিলেশকে। সে তো নিছক সৌজন্য। কিন্তু তার পর থেকেই বিজেপির দুয়ারে ঘুরতে দেখা গিয়েছে যদুবংশের আরও দুই কুশীলব— মুলায়মের ভাই শিবপাল যাদব এবং অপর্ণাকে। জল্পনা মাথাচাড়া দেয় দু’জনেরই বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে। দু’জনেই তা অস্বীকার করেছেন। বিজেপির শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, শিবপালকে দলে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। তবে অপর্ণাকে নেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা মনস্থির করেছেন। অপেক্ষা উপযুক্ত সময়ের।
যোগী মন্ত্রিসভার এক সদস্যের কথায়, ‘‘অপর্ণা যুব নেত্রী। রাজনৈতিক উচ্চাশাও রয়েছে। বিজেপি এমন নেতাদের কদর করে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্কও বহু দিনের।’’ মুলায়মের দ্বিতীয় পত্নী সাধনার ছেলে প্রতীকের স্ত্রী অপর্ণার বয়স ত্রিশের কোঠার নীচে। পড়াশোনা বিদেশে। গত বিধানসভা ভোটে লখনউ ক্যান্টনমেন্ট আসনে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী রীতা বহুগুণা জোশীর সঙ্গে লড়ে অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দু’দিনের মাথাতেই প্রতীককে নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আবার তার কিছু দিন পর খোদ মুখ্যমন্ত্রীই গিয়েছিলেন লখনউয়ে, অপর্ণার গো-শালা দেখতে। তখনই অপর্ণার বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। অপর্ণা তা ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, আদিত্যনাথ তাঁর বহু দিনের পরিচিত। অপর্ণার পাশাপাশি শিবপালও আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার জন্য হত্যে দিয়ে পড়ে ছিলেন তিন দিন। বিজেপি সূত্র বলছে, শিবপাল বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন নিজেকে বাঁচাতে। গোমতী রিভারফ্রন্ট দুর্নীতি-সহ কয়েকটি বিষয়ে
আরও পড়ুন: উপত্যকায় অশান্তির আড়ালে খেলছে চিন
ফেঁসে আছেন শিবপাল। বিজেপির মতে, দুর্নীতিতে নাম জড়ানো এমন নেতাকে দলে নেওয়ার প্রশ্ন নেই। বরং দরকার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অপর্ণাদের।
ভোটের আগেই বাবাকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে সমাজবাদী পার্টির দখল নেন অখিলেশ। ভোটে বিপর্যয়ের পরেও সেই পদ ফিরিয়ে দিতে চাইছেন না। শিবপালরা লাগাতার চাপ বাড়িয়ে আসছেন, যাতে মুলায়মের হাতেই ফের ফিরে আসে শীর্ষ পদ। ভোটের আগে, এমনকী পরেও অমর সিংহকে বিজেপি ব্যবহার করছে যদুবংশে ফাটল ধরানোর জন্য। কিন্তু বিজেপি মনে করছে, দলকে এখনও যে ভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন অখিলেশ, তাতে বাকিদের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে অপর্ণারাও একটি ‘খোলা মঞ্চ’ চাইছেন। হারের পর দলের কোন্দলকেই দায়ী করেছিলেন অপর্ণা। সাধনাও বহু দিন ধরে ‘নিজের’ পরিবারের উত্থানের জন্য স্বামীর উপরে চাপ বাড়াচ্ছেন। কিন্তু হাতে সেই ক্ষমতাই আর নেই মুলায়মের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy