প্রিয় লেখকের মৃত্যু-সংবাদ তখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারেনি তাঁর ভক্তকুল। তার মধ্যেই ‘উৎসব’-এর খবর এল তাঁর নিজের রাজ্য থেকে।
কেন্দ্রে মোদী সরকারকে দেখতে চান না বলে লোকসভা ভোটের আগে মুখ খুলেছিলেন প্রখ্যাত কন্নড় সাহিত্যিক ইউ আর অনন্তমূর্তি। গত কাল তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাই উৎসবে মেতে ওঠেন বিজেপি ও হিন্দু জাগরণ বৈদিক সংগঠনের কয়েক জন কর্মী-সমর্থক। মনের আনন্দে রাস্তায় নেমে চলে দেদার বাজি ফাটানোও। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ছবি দেখে অভিযুক্তদের চেনার চেষ্টা চলছে।
কিডনির সমস্যায় বহু দিন ধরেই ভুগছিলেন অনন্তমূর্তি। দিন দশেক আগে ডায়ালিসিসের জন্য ভর্তি হন হাসপাতালে। শুক্রবার সন্ধে বেলায় চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে মারা যান অশীতিপর এই সাহিত্যিক। একটা সময় প্রচলিত ধ্যানধারণাকে প্রশ্ন করতে শিখিয়েছিল তাঁর লেখনী। কম বিতর্ক হয়নি ইউ আর অনন্তমূর্তির রাজনৈতিক মন্তব্যের জন্যও। মোদী-বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন বরাবরই। লোকসভা ভোটের মুখে তিনি বলে বসেন, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এলে এই দেশে আর থাকবেন না। পরে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি সরকার গড়লে অবশ্য মেনে নেন, আবেগের বশে সে সময় কিছুটা বাড়াবাড়িই করে ফেলেছিলেন।
যাঁকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য সম্প্রতি বিতর্কের ঝড় তুলেছিল, অনন্তমূর্তির প্রয়াণে সেই মোদী অবশ্য সমবেদনা জানিয়েছেন প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। কাল টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “শ্রী ইউ আর অনন্তমূর্তিকে হারিয়ে কন্নড় সাহিত্যে বড় ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।” প্রশ্ন উঠছে, ব্যক্তিগত বিরোধিতা ভুলে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী যদি শোকজ্ঞাপন করতে পারেন, তা হলে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরাই বা তা পারবেন না কেন? হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি অবশ্য এই ঘটনা থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy