Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অরুণাচলে সাতটি নতুন মুখ কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায়

আসন্ন অরুণাচল বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় সাতটি নতুন মুখ ঢুকল। বাদ পড়লেন এখনকার তিন বিধায়ক। এ বারের ভোটে রাজ্যের ৬০টি আসনে দলের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২ জন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৪ ০২:৫৬
Share: Save:

আসন্ন অরুণাচল বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় সাতটি নতুন মুখ ঢুকল। বাদ পড়লেন এখনকার তিন বিধায়ক। এ বারের ভোটে রাজ্যের ৬০টি আসনে দলের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২ জন।

অন্য দিকে, দলত্যাগী প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাংকে সামনে রেখে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি।

৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভার ভোটও হবে অরুণাচল প্রদেশে।

লোকসভা দখলের যুদ্ধে, পূর্ব ও পশ্চিম অরুণাচলে সাংসদ নিনং এরিং এবং টাকাম সঞ্জয়কে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম সেপায় মামা নাটুং, দাপোরিজুতে ডিক্টো ইয়েকার, রামগং-এ টালেম টাপো, মেচুকায় টোরি রাগিওর, পশ্চিম পাসিঘাটে টাটুং জামো, রোয়িংয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মুকুট মিথির ছেলে মুটচু মিথি ও নামসাইতে চৌ ঝিংনৌ নামচুমকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সকলেই ভোটের ময়দানে নতুন মুখ।

এ দিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী কামেং ডোলো ও লোম্বো টায়েংকে প্রার্থী করতে গিয়ে, পাক্কে-কেসাং ও মেবো কেন্দ্রের বিধায়ক আতুম ওয়েলি ও রালম বোরাংকে টিকিট দেয়নি কংগ্রেস। বিধায়ক পি ডি সোনার নামও তালিকায় অনুপস্থিত। টিকিট পাননি বিধায়ক আটুম ওয়েলি। ক্ষুব্ধ আটুম গত কাল বিজেপিতে যোগ দেন।

মিথি বলেন, “তালিকা তৈরিতে কারও পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। যাঁদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি, তাঁদেরই বাছাই করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, প্রার্থী হওয়ার জন্য মাত্র ৫ জন মহিলা আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে চায়াংতাজোর বর্তমান বিধায়ক কায়রা বাগাং ও ডাম্বুকের বর্তমান বিধায়ক গুম টায়েংকে প্রার্থী করা হয়েছে।

এ দিকে, কংগ্রেসের হয়ে চার দফা ও বিজেপি-র হয়ে এক বার অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা গেগং আপাং ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ২২ বছর ধরে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী থাকা আপাংকে সামনে রেখেই বিধানসভা ভোটে লড়তে নামছে বিজেপি। আপাং-এর হাত ধরেই ২০০৩ সালে রাজ্য প্রথম বার বিজেপি শাসন কায়েম হয়। সেই সরকারের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৪২ দিন। পরে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে, ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকেন। ২০১০ সালে হাজার কোটি টাকার গণ-বন্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন গেগং।

শুধু গেগং-ই নন, বিজেপি প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী জাপু দেরু (বমডিলা), লোয়াংচা ওয়াংলেট (বরদুরিয়া-বগাপানি) ও বিধায়ক ন্যাটো রিগিয়া (তালিহা), গুরাং পিঞ্চ (দৈমুখ)। বিজেপি-র বর্তমান বিধায়ক তামিও টাগা (রুমগং), টাংগোর টাপাক (পশ্চিম পাসিঘাট) ও তাপেন সিগা (দাপোরিজু) প্রত্যাশামতোই ওই তালিকায় রয়েছেন।

অন্য দিকে, অরুণাচলে লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে তৃণমূলের ভরসা ছাত্র নেতা গুমজুম হায়দর। লোকসভা ভোটের টিকিট না-পেয়ে ‘পিপল্স পার্টি অফ অরুণাচল’ (পিপিএ) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আপসু এবং ‘নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন’-এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক গুমজুম। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পশ্চিম অরুণাচল কেন্দ্রে তিনি লড়াই করবেন। গুমজুমের ক্ষোভ, আঞ্চলিকতাবাদের নীতি এবং আদর্শে বিশ্বাস রেখেই স্থানীয় রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, পিপিএ-র মানসিকতা ও কাঠামোয় পরিবর্তন নিয়ে এসে দলকে টেনে তুলবেন। কিন্তু, পিপিএ নেতৃত্ব তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি। উল্টে প্রাক্তন এক কংগ্রেস নেতাকে লোকসভায় প্রার্থী করেছে। দলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্রের পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উদ্ধুদ্ধ হয়ে গুমজুম তৃণমূলের হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE