দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীনেশ সিংহ।
ফের বিতর্কে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীনেশ সিংহ।
আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতি, একার ইচ্ছেয় পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠায় সেগুলি খতিয়ে দেখার জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে অনুরোধ জানাল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। মন্ত্রকের যুক্তি, পদাধিকারবলে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিসিটর হলেন রাষ্ট্রপতিই। তাই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যে ভাবে ওই চিঠিতে দীনেশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা দেখে অনেকেরই ধারণা, উপাচার্যের ডানা ছাঁটতে চান কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
শুরু থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছেন দীনেশ সিংহ। ২০১৩ সালে মূলত তাঁর ইচ্ছেতেই তিনের পরিবর্তে চার বছরের স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রম চালু করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্র, শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা তীব্র আপত্তি জানালেও সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন দীনেশ। এক বছরের মাথায় বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে দীনেশকে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। সেই পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে সূত্র ধরেই সম্প্রতি স্মৃতির মন্ত্রক দাবি করেছে, উপাচার্য স্নাতক স্তরে পাঠ্যক্রমের রদবদলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেই অর্ডিন্যান্স কার্যকর করার জন্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি নেননি দীনেশ।
মন্ত্রকের বক্তব্য, ওবিসি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আর্থিক অনুদানের ১৫০ কোটি টাকায় ৬২ হাজার ল্যাপটপ কেনেন উপাচার্য। নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ সংরক্ষণ নীতি না মানারও অভিযোগ তুলেছে মন্ত্রক। সম্প্রতি দীনেশের সমালোচনা করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় টিচারস্ অ্যাসোসিয়েশন (ডুটা)। ডুটা-র অভিযোগ সামনে আসার পরেই এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন স্মৃতি ইরানি।
ঘোর কংগ্রেসি হিসেবে পরিচিত দীনেশ এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এর আগে নিজের পদটি বাঁচালেও এ বারও তা পারেন কি না, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy