অমৃতোষ
এ বার জুতো উড়ল জিতনরাম মাঁঝির দিকে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় গায়ে দাগ পড়েনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু পড়তে হয়েছে প্রবল অস্বস্তির মুখে। আজ পটনায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ‘জনতা দরবার’-এর ভিড়ের মধ্যেই হানাদার যুবক চিৎকার করে বলেছেন “এখানে নালিশ জানিয়ে কোনও লাভ হয় না। সব ধাপ্পাবাজি!” জাপটে ধরে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা।
এর জেরে ‘জুতো-হামলা’র মুখে পড়া দেশের রাজনৈতিক নেতাদের তালিকায় ঢুকলেন জিতনরামও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, ইউপিএ সরকারের মন্ত্রী পি চিদম্বরম, কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী, বিজেপি নেতা নিতিন গডকড়ী, আম-আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরীবাল এর আগে এঁরাও জুতোর ‘টার্গেট’ হয়েছিলেন। গত কাল প্রকাশ্য জনসভায় সপাটে চড় খেতে হয় তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অ্যানে মার্গের মুখ্যমন্ত্রী নিবাসে এ দিন ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ সূত্রের খবর, সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ ‘জনতা দরবার’-এ বসেন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম। শ’দুয়েক মানুষের ভিড় ছিল সেখানে। ঘণ্টা দু’য়েক পর ছপরার বাসিন্দা, বছর পঁচিশের অমৃতোষ মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলের কাছে পৌঁছন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ চিৎকার শুরু করেন ওই যুবক। বলতে থাকেন, “দু’বছর ধরে এখানে আসছি। কোনও কাজ হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মুখেই শুধু পিছনের সারিতে থাকা লোকেদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। বাস্তবে কিছু হয় না।” দরবারে হাজির নিরাপত্তাকর্মীরা অমৃতোষকে টেনে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, আচমকা নিজের জুতো খুলে মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলের দিকে ছোঁড়েন ওই যুবক। জিতনরামের থেকে সেটি কয়েক ফুট দূরে গিয়ে পড়ে। মাটিতে বসে পড়েন অমৃতোষ। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করার সময়ও চিৎকার করতে থাকেন, “আর বাঁচতে চাই না। আমাকে মেরে ফেলো।” পরে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উনি কীসের জন্য এখানে এসেছিলেন জানি না। আমার সঙ্গে তো ওঁর দেখাই হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy