উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা। ছবি: সংগৃহীত।
ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগির আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালকে গ্রেফতার করল ইডি। সোমবারই সঞ্জীবের পরিচারক জাহাঙ্গির আলমের বাড়ি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর তরফে জানা গিয়েছে, অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-তে সঞ্জীব এবং জাহাঙ্গিরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির সূত্রে খবর, ওই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই দু’জনকে।
সোমবার সকাল থেকে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীর নানা জায়গায় অভিযান চালান ইডির আধিকারিকেরা। ঝাড়খণ্ডের চম্পই সোরেন সরকারের মন্ত্রী আলমগিরের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীবের পরিচারকের দু’কামরার ফ্ল্যাটেও অভিযান চালানো হয়। ইডি সূত্রে খবর, দিনের শেষে ওই ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৩২ কোটি টাকা এবং আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আরও তিন কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রেই জানা যায়, গ্রামোন্নয়ন দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রামের বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরুপের মামলা রয়েছে, তার সঙ্গে সঞ্জীবের নাম জড়িয়ে পড়ে। সেই যোগসূত্র ধরেই সোমবার সকালে অভিযান শুরু করে ইডি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বীরেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। নানা রকম প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, এই মামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সঞ্জীবও। তাঁর বাড়ি থেকে নগদ টাকা-সহ একটি পেন ড্রাইভও উদ্ধার করা হয়েছে। ইডির আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও নাকি টাকার লেনদেন চলত সঞ্জীবের।
লোকসভা ভোটের মধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির জোট সরকারকে তোপ দেগেছে বিজেপি।কংগ্রেস নেতা আলমগির অবশ্য এই বিষয়ে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, সঞ্জীব এর আগে বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী সিপি সিংহের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন।
সোমবার সকালে মন্ত্রী-সচিবের পরিচারকের বাড়ি থেকে এই টাকার পাহাড় উদ্ধারের দৃশ্য দেখে অনেকের মনে পড়ে গিয়েছে ২০২২ সালের জুলাই মাসের একটি ঘটনার কথা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা পেয়েছিল ইডি। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy