বাজার থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে ইন্দিরা ও রাজীব গাঁধীর ডাকটিকিট। তার বদলে আসছে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ নেতাদের। আজ তা নিয়েই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিল কংগ্রেস। গুলাম নবি আজাদ আজ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে ইন্দিরা ও রাজীব গাঁধীর ডাকটিকিট জারি করা বন্ধ করে দিচ্ছে, এর পরিণাম আদৌ ভাল হবে না।’’ বিজেপি যেন এই আক্রমণটার জন্যই ওত পেতে ছিল। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ পাল্টা বলেন, ‘‘কারও স্ট্যাম্প চালু রাখা হবে না, এমন বলছি না। কিন্তু স্ট্যাম্প কেন শুধু একটি পরিবার থেকেই প্রচলিত হবে? আরও বিশিষ্ট ব্যক্তির নামেও স্ট্যাম্পের প্রচলন করব আমরা।’’
সরকার চাইছে, মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী, জওহরলাল নেহরুর পাশাপাশি সর্দার বল্লভভাই পটেল, আবুল কালাম আজাদ, রাম মনোহর লোহিয়া, জয়প্রকাশ নারায়ণ, ভগৎ সিংহ, সুভাষচন্দ্র বসু, দীনদয়াল উপাধ্যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লোকমান্য তিলক, শিবাজির ডাকটিকিটও আরও বেশি করে চালু করতে। এমনকী, বাম নেতা ভূপেশ গুপ্তর ডাকটিকিটও বের করা হবে। রবিশঙ্কর, ভীমসেন জোশী, এম এস শুভলক্ষ্মী, বিসমিল্লা খানের মত গুণীজনদের নামে ডাকটিকিটের ব্যবহার বাড়ানো হবে।
আপাত ভাবে এ নিয়ে কংগ্রেসের আপত্তি তোলার কোনও কারণ থাকার কথা নয়। তবে এটাও ঘটনা, নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি নেতৃত্ব এমন সব ব্যক্তিত্বকে ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে এনে গুরুত্ব দিতে চাইছেন, যাঁদের অনেকে প্রথম দিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত থাকলেও পরে কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছেন। বিজেপি চায় এ নিয়ে আরও বিতর্ক হোক। তাতে কংগ্রেসের অস্বস্তিই বাড়বে। আজ যেমন, গুলাম নবি মুখ খুলতেই পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে বেঁধার সুযোগ পুরোদস্তুর কাজে লাগালেন মন্ত্রী রবিশঙ্কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy