সিকিমে ২৩টি বাঁধের কারণে তাদের দেশে তিস্তার জলপ্রবাহ কমে যাচ্ছে বলে দিল্লির কাছে নালিশ জানাল ঢাকা। তিন দিনের ভারত সফরে এসে দিল্লিতে বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বাংলাদেশের বিদেশসচিব শহিদুল হক। সেখানেই তিনি এই অভিযোগটি করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে দিল্লি।
হাসিনার সরকারে দায়িত্ব পেয়ে এই প্রথম ভারত সফরে এসেছেন বিদেশসচিব শহিদুল হক। এ দিন তিনি দাবি করেন, দিল্লিতে সরকার বদল হলেও দু’দেশের সম্পর্কে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। হক বলেন, “সরকার বদলালেও আমলা পর্যায়ের টেকনিক্যাল আদানপ্রদানগুলি তো আর থেমে যাবে না। চলতি ভারত সফরে সেগুলি নিয়েই পর্যালোচনা করতে এসেছি।”
বাংলাদেশের বিদেশসচিব আজ দীর্ঘ বৈঠক করেছেন ভারতের বাণিজ্যসচিব, জাহাজসচিব এবং জলসম্পদ সচিবের সঙ্গে। আগামী কাল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং বিদেশ মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। আজ যে বিষয়গুলি নিয়ে দু’তরফের আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্র ধরে ধরে টাস্ক ফোর্স গড়া, সীমান্ত বাণিজ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন, জলসম্পদের যৌথ উন্নয়ন, জাহাজ পরিবহণ বাড়ানোর বিষয়। ভারতে ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় নতুন কোনও ঘোষণা বা চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের মতো পদক্ষেপ করা
যাবে না।
বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এই বৈঠকগুলির উদ্দেশ্যও সেটা নয়। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, নতুন সরকার এলেও রাতারাতি কোনও দেশের বিদেশনীতি পাল্টে যায় না। তাই মনমোহন সরকারের শেষ পর্যায়ে এসে ঐকমত্যের বিষয়গুলিকে মেজে ঘষে রাখাটাও ঢাকার উদ্দেশ্যের মধ্যে পড়ে। তা হলে দিল্লিতে নতুন সরকার আসার পরে সম্পর্ক মসৃণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy