লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকেই রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব নিয়ে দলের মধ্যে চোরাগোপ্তা অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন শীর্ষ নেতাদের একাংশ। এ বার হাইকম্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই বিরোধিতার সুর শোনা গেল দলের ওয়ার্কিং কমিটির এক বর্ষীয়ান সদস্যের মুখে। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্ব থাকা সাধারণ সম্পাদক জনার্দন দ্বিবেদী আজ কার্যত আঙুল তুললেন সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধেই!
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির প্রাক্তন সদস্য তথা পঞ্জাব কংগ্রেসের নেতা জগমিৎ ব্রার তিন দিন আগেই সনিয়া ও রাহুলকে দু’বছরের জন্য দলের দায়িত্ব থেকে ছুটি নেওয়ার কথা বলে শাস্তির মুখে পড়েছেন। আজ জনার্দন বলেন, “দলের নেতাদের সঙ্গে হাইকম্যান্ডের যোগাযোগটা একতরফা হতে পারে না। এটা হতে পারে না যে, হাইকম্যান্ড শুধু বলে যাবে আর নেতারা শুনে যাবেন। নেতাদের কথাও হাইকম্যান্ডের শোনা উচিত।”
জনার্দনের এই মন্তব্যে কংগ্রেসে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশের সন্দেহ, জগমিতের সঙ্গে যোগসাজশ করেই জনার্দন এই মন্তব্য করতে পারেন। নেতৃত্বের এ-ও আশঙ্কা, রাহুলের বিরুদ্ধে সমষ্টিগত ভাবে বিদ্রোহ ঘোষণার একটা চক্রান্ত চালাচ্ছেন দলের একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে দল। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা শুধু বলছেন, “জনার্দন বর্ষীয়ান নেতা। ওঁর সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ব্যাখ্যা না শুনে দল প্রতিক্রিয়া দেবে না।”
রাহুল ঘনিষ্ঠ এক নেতা আজ বলেন, জনার্দনের এই সব মন্তব্যে খুব বেশি আমল দিতে রাজি নন তাঁরা। এঁদের বিদ্রোহে সাময়িক অস্বস্তি তৈরি হলেও সাংগঠনিক ক্ষতির আশঙ্কা কম। তাঁর কথায়, সংগঠনে পরিবর্তন অনিবার্য এবং নতুন কমিটিতে জায়গা পাবেন না ধরে নিয়েই জনার্দনরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy