জাপানি তরুণী ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত রয়েছে একটি বড় চক্র। তারই খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রের কয়েক জনকে পাকড়াও করতে ইতিমধ্যেই ভিন্ রাজ্যে রওনা দিয়েছে গোয়েন্দাদের একটি দল। এ দিকে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৬ জন। অভিযোগকারিণী তরুণীকে দিয়ে তাদের টিআই প্যারেডও করানো হয়েছে। তদন্তকারীদের আশা, চক্রের বাকিদের ধরতে পারলে শহরে পর্যটকদের প্রতারণার শিকার হওয়া রোখার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য মিলবে।
গোয়েন্দারা জেনেছেন, শহরে এমন একটি প্রতারণা চক্র রয়েছে, যেখানে বিদেশি পর্যটকদের নানা জায়গায় ঘোরানোর নাম করে দুষ্কৃতী চক্রের পাল্লায় ফেলা হয়। তার পর টাকা-পয়সা লুঠ করে ছেড়ে
দেওয়া হয় তাঁদের। অনেকটা একই কায়দায় ফাঁদে ফেলা হয়েছিল এই ঘটনায় অভিযোগকারিণী জাপানি তরুণীকেও।
মাস কয়েক আগে শহরে বেড়াতে আসেন ওই জাপানি তরুণী। অভিযোগ, সেই সময়ে শাহিদ ইকবাল ওরফে জাপানি শাহিদ এবং তাঁর দলবল তাঁকে দিঘা ও বোধগয়া বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে টাকা কেড়ে নেয়। এ ছাড়া, বোধগয়ার একটি বাড়িতে আটকে রেখে গণধর্ষণও করা হয়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ শাহিদ ইকবাল, সাবির খান, ওয়াসিম খান নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করে। বোধগয়া থেকে পাকড়াও করা হয় জাভেদ খান ও সাজিদ খান নামে দু’জনকে। পরে কলকাতা জাদুঘরের গাড়িচালক মহম্মদ ওয়াসিম নামে এক যুবককেও গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা।
শুক্রবার এই ছ’জনকেই ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবী দীপনারায়ণ পাকড়াশি জানান, এই চক্রে আরও অনেকে রয়েছে। তার খোঁজে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তরুণীর অভিযোগ, অভিযুক্তেরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা লুঠ করেছিল। সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
এ দিকে, অভিযুক্তদের আইনজীবী ফজলে আহমেদ খান অবশ্য আদালতে দাবি করেন, তরুণীর অভিযোগ অসঙ্গতিপূর্ণ। তিনি ঘটনার এত দিন পরে কেন অভিযোগ করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। তিনি আদালতে জানান, এই ঘটনার ছয় অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে টিআই প্যারেডে শনাক্ত করতে পারেননি অভিযোগকারিণী।
লালবাজারের গোয়েন্দারা অবশ্য ভিত্তিহীন অভিযোগের তত্ত্ব মানতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, ধৃতদের জেরা করে নির্দিষ্ট কিছু সূত্র মিলেছে। মিলেছে তথ্যপ্রমাণও। পাশাপাশি পুলিশের দাবি, ছ’জনের মধ্যে যে চার জন ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের শনাক্ত করেছেন তরুণী। ওই ছয় অভিযুক্তের মধ্যে জাভেদ, সাজিদ ও মহম্মদ ওয়াসিমকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে এবং বাকিদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy