পদচ্যুত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল দুর্নীতি-দমন আদালত।
সম্প্রতি পানামার একটি ল’ফার্মের ফাঁস করা তথ্যে দাবি করা হয়েছিল, বিভিন্ন দেশে একাধিক আয়ের উৎস রয়েছে শরিফ ও তাঁর তিন ছেলেমেয়ের। কিন্তু তার সবটাই গোপন করেছেন তাঁরা। সেই অর্থেই লন্ডনে বিলাসবহুল বাড়িও কিনেছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। জুলাই মাসে কোর্টের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হয় শরিফের। পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই গত ৮ সেপ্টেম্বর শরিফের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে দুর্নীতি-দমন আদালত।
কিন্তু এ পর্যন্ত কোনও দিনই শুনানিতে উপস্থিত থাকেননি শরিফ। লন্ডনে শরিফ-পত্নী কালসুমের কেমোথেরাপি চলছে। গলার ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। স্ত্রীর কাছে রয়েছেন শরিফ। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে তিন-তিনটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। একটি মামলায় তাঁর মেয়ে মারিয়ম ও জামাই মহম্মদ সফদরের নামও রয়েছে। তাঁরা অবশ্য চার্জ গঠনের দিন আদালতে হাজির ছিলেন।
শরিফের আদালতের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আজ আরও সময়ের আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী খাজা হারিস। এত দিন তাঁর সামনেই চার্জ পড়ে শুনিয়েছিল দুর্নীতি দমন আদালত। কিন্তু এ দিন ‘ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো’র ডেপুটি প্রোসিকিউটর জেনারেল সর্দার মুজাফ্ফর আব্বাসি জানিয়ে দেন, ইতিমধ্যেই ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সেই সময়সীমাও গত ২৪ তারিখ পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছে করেই শরিফ সময় নিচ্ছেন। আদালতকে এড়িয়ে যাওয়ার এটাও একটা পদ্ধতি। এর পরেই জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় শরিফের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy