ছবি: পিটিআই।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা অনেকটা কমেছে বলে মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ ওয়াশিংটনে তিনি জানালেন, শীঘ্রই ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আগামী রবিবার হিউস্টনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সমাবেশে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ট্রাম্পের। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর কোথায় দেখা হবে তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।
হিউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে দিল্লির আমন্ত্রণে ট্রাম্প সাড়া দেওয়ায় গত কালই উল্লসিত হয়েছিল দিল্লি। আজও বিদেশ মন্ত্রকের একশো দিনের কাজের খতিয়ান সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্ক এখন খুবই ভাল।’’
গত কাল খোদ প্রধানমন্ত্রী টুইট করে ওই সমাবেশের আমন্ত্রণ গ্রহণকে ‘বিশেষ সৌজন্য’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। আজ তারই রেশ টেনে বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের কাছে এটা বড় সাফল্য। ওই সম্মেলন নিয়ে যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে সেটাই প্রমাণ করে যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনেরা কোন উচ্চতায় গিয়ে পৌঁছেছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের উপস্থিতি আমাদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের। আমরা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘হিউস্টনের অনুষ্ঠান বিশ্বের কাছে দ্রষ্টব্য হয়ে উঠতে চলেছে। পাকিস্তানও দেখবে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের এই বিজ্ঞাপন।’’
ইরান থেকে তেল আমদানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আসন্ন মোদী-ট্রাম্প বৈঠকে উঠতে চলেছে বলেই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। এর আগে জি-৭ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকেও দুই নেতার মধ্যে এই নিয়ে কথা হয়েছিল। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে কিছুটা মোদী-বিরোধী স্বর শোনা যাচ্ছে বলে খবর। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের সদস্যদের কেউ কেউ
টুইটও করছেন। জয়শঙ্কর আজ বলেছেন, ‘‘মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে অনেক মানুষ যোগাযোগ করেন। আমি নিজে ওয়াশিংটনে গিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy