দমকলকর্মীর পোশাক পরে মায়ের কোলে ট্রাকার। ছবি: ফেসবুক
তিন বছরের ছোট্ট জীবনে অনেকের মন ছুঁয়ে গিয়েছে সে। দমকল বাহিনী আর তাদের আগুন নেভানোর ট্রাক তার খুব ভাল লাগত। নিউ ইয়র্কের দমকল বিভাগ তার কথা জানতে পেরে এক দিনের জন্য তাকে ‘জুনিয়র দমকলকর্মী’ হিসেবে সম্মানও জানিয়েছে।
হাওয়াইয়ের মাউয়ি-র সেই খুদে ট্রাকার ডিউকস শৈশব থেকেই ক্যানসারের শিকার। মাত্র এক বছর বয়সে সেই নিউরোব্লাস্টোমা (শৈশবের ক্যানসার) স্টেজ ফোর ছুঁয়ে ফেলে। দু’বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের পরে হাওয়াইয়ের বাড়িতে গত বছর মার্চে মারা যায় সে। ট্রাকারের নামে ফেসবুকেও একটি পেজ রয়েছে। সেখান থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। ট্রাকারের মা শনা বলেছেন, ‘‘ওর চলে যাওয়াটা নিদারুণ অভিজ্ঞতা। এখন ওর বেঁচে থাকা দিনগুলোই উদ্যাপন করতে চাই।’’
ক্যানসারের চিকিৎসার জন্যই নিউ ইয়র্কে পা রেখেছিল ট্রাকার। সেই সময়েই এ শহরের দমকলকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব। ২০১৬ সালে তাকে জুনিয়র দমকলকর্মীর সম্মান দেওয়া হয়। তৃতীয় জন্মদিনটাও তাঁদের সঙ্গেই কাটিয়েছিল ট্রাকার। আদতে সে যেন নিউ ইয়র্কের দমকল বিভাগের কর্মী, ছোট্ট ছেলের হাবেভাবে ধরা পড়ছিল সেই ছবিই, জানিয়েছেন কর্মীরা।
চিকিৎসায় আর সাড়া না মেলায় সে সব পাট বন্ধ করে দিয়েছিলেন তার বাবা-মা। শেষ ক’টা দিন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে তাকে ফিরিয়ে এনেছিলেন মাউয়িতেই। গত বছর জানুয়ারি থেকে শুরু হয় #ট্রাকারটাফচ্যালেঞ্জ।
তবে শেষ দিকে ট্রাকারের যন্ত্রণা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, যে বাবা-মা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন, ওকে কাছে টেনে নিন। রাতে ঘুম ভেঙে ৪০-৫০ উঠে বসত সে।
এখন ফেসবুক পেজে ক্যানসার নিয়ে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি ছেলের কথা ভেবে নানা বার্তা লেখেন বাবা-মা। এ ভাবেই ছুঁয়ে থাকতে চান তাঁদের আদরের ট্রাকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy