পরিবারের সঙ্গে ক্রিস্টোফার লি ওয়াট্স। ছবি: টুইটার।
নিজের ঘরে বসে বেবি মনিটরে দেখেন, তার ছোট মেয়েকে গলা টিপে খুন করছেন তার স্ত্রী। আর পাশেই বিছানায় পড়ে তার চার বছরের বড় মেয়ের নিথর দেহ। এই দৃশ্য দেখার পর নিজেকে সামলাতে না পেরে রাগের বশে ১৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করে সে। পুলিশের কাছে এমনটাই দাবি করেছে বছর তেত্রিশের ক্রিস্টোফার লি ওয়াট্স নামে আমেরিকার কলোরাডোর এক বাসিন্দা। গোটা পরিবারকে শেষ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
ডেনভারে যে তেল এবং গ্যাস সংস্থায় কাজ করত ক্রিস্টোফার তারই একটি ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে গত সপ্তাহে উদ্ধার হয় শিশুদু’টির দেহ। দু’টো ট্যাঙ্কের মাঝের জমিতে পোঁতা হয়েছিল স্ত্রী শ্যাননের (৩৪) দেহ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, একটি ড্রোনের সাহায্যে ওই জায়গাটিতে একটি বিছানার চাদর শনাক্ত করেন তাঁরা। ওই চাদরের সঙ্গে ক্রিস্টোফারের রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হওয়া বালিশের কভারের মিল ছিল। এর পর দেহগুলি কোথায় রয়েছে পুলিশকে তা ক্রিস্টোফারই জানিয়েছিল বলে খবর।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, অফিসের এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল ক্রিস্টোফার। জেরায় সে জানায়, ১৩ অগস্ট বিচ্ছেদের বিষয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে আলোচনা হয় তার। কথা শেষে নীচের তলায় গিয়েছিল সে। কিছু ক্ষণ পর স্ত্রীকে কিছু একটা বলতে ফিরে আসতেই চোখ পড়েছিল বেবি মনিটরের দিকে। তার পরই স্ত্রীকে খুন করে সে। দেহগুলি ট্রাকে করে সংস্থার ‘অয়েল সাইট’-এ নিয়ে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছে ক্রিস্টোফার।
তবে তার এই বয়ানে বিশ্বাস করতে নারাজ সরকারপক্ষের আইনজীবী। দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে খুনের দায়ে সোমবার তার বিরুদ্ধে তিনটি ‘ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে আদালতে। নিহত শিশুদের বয়স ১২ বছরের নীচে হওয়ায় অতিরিক্ত দু’টি ‘ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার’-এর মামলাও যুক্ত হয়েছে এর সঙ্গে। এ ছাড়া মৃতদেহ লোপাট এবং বেআইনিভাবে গর্ভপাত করানোর অভিযোগও উঠেছে ক্রিস্টোফারের বিরুদ্ধে।
১৩ অগস্ট রাত দু’টোয় শ্যাননকে বাড়িতে নামিয়ে দেন তাঁর এক সহকর্মী নিকোল অ্যাটকিনসন। সে দিন বেলায় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল শ্যাননের। সেই সূত্রে তাঁকে ফোন করলেও সাড়া পাননি নিকোল। ক্রিস্টোফারকে ফোন করলে তাকে মোটেও বিচলিত শোনায়নি বলে দাবি তাঁর। এর পর নিকোলই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy