Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19

করোনার টিকার জন্য হয়তো ২০২২ পর্যন্ত অপেক্ষা কমবয়সিদের: হু

টিকা ছাড়া ‘হার্ড ইমিউনিটি’-র মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সায় নেই হু-র।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫৬
Share: Save:

করোনার টিকার জন্য সুস্থসবল কমবয়সিদের হয়তো ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এমনটাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। টিকা তৈরি হলে সংক্রমিতরা ছাড়াও অগ্রাধিকার পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী বা এই অতিমারির যুদ্ধে যাঁরা একেবারে সামনে থেকে লড়াই করছেন। বয়স্কদেরও এই টিকা আগে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন হু-র প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্যা স্বামীনাথন।

বুধবার একটি সোশ্যাল মিডিয়া ইভেন্টে সৌম্যা জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্য আধিকারিকেরা প্রথমে বয়স্ক বা করোনার ঝুঁকি বেশি রয়েছে, এমন গোষ্ঠীকে সবচেয়ে আগে প্রতিষেধক দিতে চেষ্টা করবেন। সে ক্ষেত্রে সুস্থসবল কমবয়সিদের হয়তো আরও বছর দুয়েক অপেক্ষা করতে হতে পারে। সৌম্যার কথায়, “বেশির ভাগ মানুষ এ কথা মানবেন যে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়েই এটি (প্রতিষেধক দেওয়া) শুরু করা উচিত। তা ছাড়া, যাঁরা সরাসরি করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন সেই ফ্রন্টলাইন ওয়াকার্স-এরও এই টিকার প্রয়োজন বেশি। যদিও তাঁদের মধ্যে কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে। বয়স্ক বা অন্যান্যরা এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ফলে করোনার প্রতিষেধকের জন্য এক জন সুস্থ কমবয়সিকে হয়তো ২০২২ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।”

বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের কাজ চলছে জোরকদমে। এই মুহূর্তে কমপক্ষে ডজনখানেক টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্বে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সামনের সারিতে থাকা জনসন অ্যান্ড জনসন বা অ্যাস্ট্রাজেনেকোর ট্রায়ালের সময় তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দু’একজন স্বেচ্ছাসেবক। করোনার ওই টিকাগুলির সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ফলে চলতি বছরেই বাজারে করোনার টিকা আসা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। এই আবহে জনসাধারণের কাছে দ্রুত টিকা পৌঁছে দেওয়া কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বৈজ্ঞানিকদের একাংশ। ফলে টিকা আবিষ্কার হলেও সমাজের কোন অংশের কাছে তা আগে পৌঁছনো উচিত, তা নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে হু-সহ বিশ্বের নানা দেশ।

আরও পড়ুন: অ্যান্টিবডির আয়ু পাঁচ-সাত মাস, দাবি গবেষকদের

আরও পড়ুন: সৌমিত্রের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ, উন্নতি হয়েছে শারীরিক অবস্থার

টিকা ছাড়া ‘হার্ড ইমিউনিটি’-র মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সায় নেই হু-র। সংক্রমণ রুখতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’-তে ভরসা রাখলে প্রাণহানিরও আশঙ্কা থাকে। এ নিয়ে সৌম্যা বলেন, “অনেকে ‘হার্ড ইমিউনিটি’-র কথা বলেন। উল্টে আমাদের প্রতিষেধকের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর কথা বলা উচিত। অন্তত ৭০ শতাংশের মধ্যে প্রতিষেধক দিয়ে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার কথা ভাবতে হবে।”

যত দিন পর্যন্ত ‘হার্ড ইমিউনিটি’ লাভ করা যায়, তত দিন মাস্ক পরা, বার বার হাত ধোওয়া বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে করোনাকে দূরে ঠেলে রাখায় জোর দিতে হবে বলেও মনে করে হু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 COVID-19 Vaccine Coronavirus WHO
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE