Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ফের রেকর্ড সংক্রমণ ইটালিতে, ভয় বাড়ছে

মানুষের রুজিরুটি ও ব্যবসাপত্র যতটা সম্ভব অক্ষত রেখে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
মিলান শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ০৫:২৭
Share: Save:

ইউরোপে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন দেখেছে ইটালি। ফের সেই দুর্দিনের আতঙ্ক ফিরে এসেছে। সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। গত কাল রেকর্ড গড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। এই অবস্থায় শীঘ্রই নতুন কিছু বিধিনিষেধ জারি করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। সেই সঙ্গে আজ অতিমারি পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সামাল দিতে ৪০০০ কোটি ইউরো আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেছে সরকার। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে দেওয়া হবে অতিরিক্ত আরও ১০০ কোটি ইউরো।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, মানুষের রুজিরুটি ও ব্যবসাপত্র যতটা সম্ভব অক্ষত রেখে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইটালি প্রথম ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত হয়। আবার তারাই প্রথম দীর্ঘ লকডাউন আর পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি মেনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রীষ্মের মধ্যেই অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছিল সে। কিন্তু গত কয়েকটা সপ্তাহে ছবিটা ফের বদলাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, শনিবার এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৯২৫ জন। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে রেকর্ড সংখ্যাটা ছিল ১০,০১০। এর আগে লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়েই দিয়েছিল ইটালি সরকার। কিন্তু এখন পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে হয়তো আর্থিক ক্ষতি উপেক্ষা করে লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে।

বিশ্বে করোনা

মৃত - ১১,১৭,৩৬০

আক্রান্ত - ৪,০২,১৭,৫৫৪

সুস্থ - ৩,০০,৫৪,৬৮৮

মাঝের কয়েক মাসে সব কিছু অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ফের অনলাইন ক্লাস ও বাড়িতে বসে অফিসের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। ময়দানে খেলাধুলো বন্ধ। পাব, রেস্তরাঁয় জমায়েত নিষিদ্ধ। বাড়ির বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। নতুন বিধিনিষেধে কড়াকড়ি বাড়ানো হবে। ইউরোপে ব্রিটেনের পরে সর্বোচ্চ মৃত্যু ইটালিতেই। ৩৬,৪৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এ দেশে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE