সৌজন্যে এএফপি
চার কোটির গণ্ডি পেরোলো বিশ্বে করোনা-সংক্রমণ। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আক্রান্ত তিনটি দেশে— আমেরিকা, ভারত এবং ব্রাজিল। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর হিসেব অনুযায়ী, গত সাত দিনে নতুন করে ২৫ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। এ পর্যন্ত সব চেয়ে ভয়াবহ সপ্তাহ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এ ভাবে হুড়মুড় করে সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে অন্যতম কারণ, করোনা-পরীক্ষা বাড়ছে। তাই আক্রান্ত ধরা পড়ছে বেশি। কিন্তু এ বাদ দিয়েও এমন বহু করোনা-সংক্রমিত রয়েছেন, যাঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই।
ভ্যাকসিন কবে আসবে, তার কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে ৪২টি সম্ভাব্য প্রতিষেধক ক্যানডিডেটের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে ১০টি রয়েছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। ফাইজ়ার এবং মডার্না, এই দুই মার্কিন সংস্থা দাবি করেছে, সব ঠিক থাকলে নভেম্বরে তারা সুখবর দিতে পারে। অক্সফোর্ডও বড়দিনে ভাল খবর দিতে পারে বলে ব্রিটেনে গুঞ্জন। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপুঞ্জ আজ জানাল, ২০২১-এর শেষের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য একশো কোটি সিরিঞ্জ মজুত করবে তারা। যাতে ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলে ইঞ্জেকশন প্রয়োগের জন্য সিরিঞ্জের অভাব না হয়।
ও দিকে, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও, অর্ধেকের বেশি রোগী শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ— এ ধরনের উপসর্গে ভুগছেন। মাসের পর মাস গায়ে ব্যথা, প্রদাহ থেকে যাচ্ছে। গবেষকদলের প্রধান, অক্সফোর্ডের ‘র্যাডক্লিফ ডিপার্টমেন্ট অব মেডিসিন’-এর বেটি র্যামান বলেন, ‘‘কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পরে শরীরের দীর্ঘমেয়াদি কী ক্ষতি হচ্ছে, তা নিয়ে আরও বিশদে জানা দরকার। সেটাই দেখিয়ে দিয়েছে এই গবেষণা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy