আগামী শীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা।
অতিমারির প্রকোপে বিপর্যন্ত গোটা দুনিয়া। অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকছে বিভিন্ন দেশ। তবে আগামী বছর শীত আসতে আসতে সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে, তাই পরিস্থিতিও আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। মন্তব্য কোভিড টিকা প্রস্তুতকারক জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক-এর প্রধান উর সাহিনের। আগামী বছর গ্রীষ্ম থাকতে থাকতে যদি ব্যাপক হারে টিকাকরণ প্রক্রিয়া সেরে ফেলা যায়, তাহলে কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে দাবি তাঁর।
মার্কিন সংস্থা ফাইজারের সঙ্গে মিলে কোভিডের প্রতিষেধক তৈরি করছে বায়োএনটেক। তাদের তৈরি প্রতিষেধক ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকরী বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছে তারা। সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে উর বলেন, ‘‘আমাদের তৈরি প্রতিষেধক অত্যন্ত কার্যকরী। আমি নিশ্চিত এর প্রয়োগে পারস্পরিক সংক্রমণ ৯০ শতাংশ না হলেও ৫০ শতাংশ কমবেই। তাতেই অতিমারির বিস্তার ঠেকানো যাবে।’’
এ বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক বাজারে চলে আসবে বলে আশাবাদী উর। আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যে ওই প্রতিষেধকের ৩০ কোটি ডোজ তাঁরা সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, গ্রীষ্মে সংক্রমণ খানিকটা হলেও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যেই টিকাকরণ সেরে ফেলতে হবে, যাতে শীত আসার আগে প্রতিষেধক কাজ দেখাতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা নিয়ে মডার্না-র সঙ্গে কথা শুরু ভারতের, দাবি সূত্রের
তবে তাদের তৈরি প্রতিষেধক বয়স্ত মানুষদের জন্য নিরাপদ কি না, প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর কতদিন পর্যন্ত শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে, তা এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন উর। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সমস্ত ধন্দ দূর হয়ে যাবে বলে আশা তাঁর।
আরও পড়ুন: আরও ভাল টিকা! টক্কর মডার্নার
এর আগে উর জানিয়েছিলেন, তাদের তৈরি প্রতিষেধক নেওয়ার পর হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন, যেখানে ইঞ্জেকশনের সূচ ফোটানো হবে, সেই জায়গাটিতে ব্যথা হবে। বেশ কয়েক দিন জ্বরও থাকতে পারে। তবে বায়োএনটেক এবং মডার্নার তৈরি প্রতিষেধকই শেষ কথা নয়। এই মুহূর্তে করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক বাজারে নিয়ে আসার চূ়ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে ১১টি সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy