পোকা গায়ে জন কেমব্রিজ
বিষাক্ত ট্যারান্টুলা, মরুভূমির রোমশ বিছে, ম্যাডাগাস্কারের হিসহিস শব্দ করা আরশোলা— পারতপক্ষে এ সব এড়িয়েই চলেন মানুষ। কিন্তু এ রকমই প্রায় ৭ হাজার প্রাণী চুরি গিয়েছে ‘ফিলাডেলফিয়া ইনসেক্টারিয়াম’ ও ‘বাটারফ্লাই প্যাভিলিয়ন’ থেকে!
রাতারাতি নয়। চার দিন ধরে হয়েছে এই চুরি। ঘটনা অগস্ট মাসের। কিন্তু তা সামনে এসেছে সদ্য। প্রায় ৮০ শতাংশ কীটপতঙ্গ ও প্রজাপতি চুরি যাওয়ায় তিনতলা সংগ্রহশালাটির দু’টি তলাই বন্ধ করে দিতে হয়েছে। খোলা শুধু প্রজাপতির প্যাভিলিয়ন।
চুরি যাওয়া ওই জীবন্ত সংগ্রহের দাম প্রায় ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা)। প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই চুরি? চোরেরা কী করবে এ সব নিয়ে? সংগ্রহশালাটির মালিক জন কেমব্রিজ বলছেন, ‘‘নিশ্চয়ই বেচে দেবে। আজকাল পুষ্যির বাজার বেশ চাঙ্গা। পুষ্যি হিসেবে রোমশ শেয়াল বা লেমুর শুধু নয়, পোকামাকড়ের বাজারও খুব ভাল। ২৫০ থেকে ৩৫০ ডলারে বিক্রি হতে পারে এক-একটি।’’ জনের চিন্তা, ঠিক হাতে না পড়লে ওগুলো মরেই যাবে। পুলিশ প্রশাসনকে যেটা বেশি ভাবাচ্ছে তা হল, ওই সংগ্রহে বেশ কিছু প্রাণী রয়েছে, যাদের বিষে মৃত্যু হতে পারে। যে কারণে ফিলাডেলফিয়া পুলিশের সঙ্গে এফবিআই-ও নেমেছে এই ঘটনার তদন্তে। কেউ গ্রেফতার হয়নি এখনও। তবে এক সন্দেহভাজনের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া ১২টি প্রাণী উদ্ধার হয়েছে।
চুরির ঘটনা প্রথম নজরে আসে জন ও তাঁর কয়েক জন সহকর্মীর। তাঁরা দেখেন, খাঁচা ও কীটপতঙ্গের পাত্রগুলি বিলকুল ফাঁকা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে স্পষ্ট হয়, সংগ্রহশালার কর্মীদের উর্দি পরে পাঁচ জন কী ভাবে ধীরে সুস্থে অপারেশন চালিয়েছে। পিছনের দরজা দিয়ে নয়, সামনের দরজা দিয়েই সেগুলি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। ২২ অগস্টের ফুটেজে জন দেখেন, ‘ফায়ারলেগড ট্যারান্টুলা’ রাখার ঘেরাটোপ ভাঙছে ওই পাঁচ জন। তার পরে সংগ্রহশালার ডিরেক্টর মাকড়সাটিকে ছোট এক পাত্রে ঢুকিয়ে নিয়ে বেরিয়ে গেল। জন জানাচ্ছেন, প্রাণীগুলিকে অনেক সময় শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হত। তাই সহজেই বমাল বেরিয়ে যেতে পেরেছে চোরেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy