কমলা হ্যারিস
পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচার শুরু করলেন ক্যালিফর্নিয়ার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সেনেটর কমলা হ্যারিস।
প্রচারের শুরুতেই নাম না করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত নিয়েছেন কমলা। সরাসরিই বলেছেন, ‘‘আমেরিকার মানুষের স্বপ্ন আর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ যখন ধ্বংস হতে চলেছে, ঠিক এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা এখানে একত্র হয়েছি।’’
গত কাল সান ফ্রান্সিসকোর ওকল্যান্ডের সিটি হলে কয়েক শো ডেমোক্র্যাট সমর্থকের সামনে সভা করেন কমলা। এক সময়ে সান ফ্রান্সিসকোর জেলা অ্যাটর্নি ছিলেন তিনি। পরে, ২০১১ সাল থেকে ’১৭ পর্যন্ত ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হন। সেখান থেকেই সেনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন। ওকল্যান্ড শহরেই জন্ম কমলার। বাবা ছিলেন জামাইকার বাসিন্দা। মা দক্ষিণ ভারতীয়। ‘ঘরের মেয়ে’-কে ফিরে পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ওকল্যান্ডের মানুষ। সান ফ্রান্সিসকোর চিকিৎসক ড্যানি মারকুইস নিজের এগারো বছরের ছেলেকে নিয়ে কমলার প্রচারসভায় এসেছিলেন। বললেন, ‘‘ক্যালিফর্নিয়া থেকে কেউ প্রেসিডেন্ট হবেন ভেবেই রোমাঞ্চ লাগছে। উনি অনেকটা আমারই মতো। আমি জানি, আমাদের মতো মানুষের জন্যই উনি লড়বেন।’’ ২০০৭ সালে নিজের নির্বাচনী প্রচার এই ওকল্যান্ড থেকেই শুরু করেছিলেন আর এক প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-ও।
কাল কমলার বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে ছিল বর্তমান প্রেসিডেন্টের কড়া সমালোচনা। সরাসরি ট্রাম্পের নাম নেননি তিনি। তবে বলেছেন, ‘‘বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক নীতি মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছে। যা আমেরিকা কখনও কোনও দিন বিশ্বাস করেনি।’’ মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলা থেকে শুরু করে অবৈধ অভিবাসী শিশুদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে খাঁচায় আটকে রাখা— ট্রাম্প প্রশাসনের একের পর এক সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন কমলা। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে ভাবে সাংবাদিকদের ‘মানুষের শত্রু’ বলে তাঁদের অধিকার খর্ব করছেন, সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে কমলার বক্তৃতায়। তাঁর বিরুদ্ধে যে কোনও খবরকে ট্রাম্প যে ভাবে ভুয়ো (ফেক) বলে উড়িয়ে দেন, সেই প্রবণতাও গণতন্ত্রের পক্ষে মারাত্মক বলে মনে করছেন কমলা।
কমলা জিতলে তিনিই হবেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা যিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের গদিতে বসবেন। তবে শুধু কমলাই নন, ইতিমধ্যেই চার জন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা এবং প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় তুলসী গাবার্ড। বাকিরা হলেন ম্যাসাচুসেটসের সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, প্রাক্তন আবাসন সচিব জুলিয়ান কাস্ত্রো এবং নিউ ইয়র্কের সেনেটর কার্স্টেন জিলিব্র্যান্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy