Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Brucella

ভ্যাকসিন বানাতে গিয়ে চিনে নতুন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, আক্রান্ত ৩ হাজার

লানঝৌ-এর স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, গত বছরে সরকারি একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা প্রাণীর প্রতিষেধক তৈরি করছিল। সে সময় ব্রুসেলা নামে ব্যাকটেরিয়াটি ওই  প্ল্যান্ট থেকে কোনও ভাবে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:০০
Share: Save:

করোনাভাইরাসের পর এ বার ব্রুসেলোসিস নামে এক ব্যাকটেরিয়াবাহিত রোগে আক্রান্ত হলেন উত্তর-পশ্চিম চিনের কয়েক হাজার পুরুষ। লানঝৌ-এর স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, গত বছরে সরকারি একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা প্রাণীর প্রতিষেধক তৈরি করছিল। সে সময় ব্রুসেলা নামে ব্যাকটেরিয়াটি ওই প্ল্যান্ট থেকে কোনও ভাবে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেই সংক্রমিত হন অনেকেই।

৩ হাজার ২৪৫ জনের দেহে ইতিমধ্যেই ওই ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। চিনের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভেড়া, শুয়োর প্রভৃতি প্রাণির দেহে এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। যাঁদের দেহে এই সংক্রমণ ঘটেছে, তাঁরা কোনও ভাবে ওই প্রাণীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, এই সংক্রমণের ফলে পুরুষদের শুক্রাণুর কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে।

আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, এই রোগটি মাল্টা ফিভার বা মেডিটেরানিয়ান ফিভার নামেও পরিচিত। এই রোগের উপসর্গ হল, জ্বর, মাথা ও পেশী যন্ত্রণা এবং ক্লান্তি ভাব।

সিডিসি আরও জানিয়েছে, মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা বিরল। কোনও দূষিত খাবারের থেকে এই সংক্রমণ ঘটে থাকে। লানঝৌ-এর ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে বলে ধারণা সিডিসি-র বিজ্ঞানীদের।

আরও পড়ুন: ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ না করে বাজারে কোভিড টিকা নয়, জানাল তিন মার্কিন ওষুধ কোম্পানি

চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর রিপোর্ট বলছে, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল অল্প সংখ্যক মানুষ এই ব্যাকটেরিয়ার শিকার হয়েছেন। কিন্তু ২১ হাজার মানুষের পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, সংখ্যাটা ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। তবে এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সংক্রমণ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য দেশের বিভিন্ন প্রদেশগুলোকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছে চিন সরকার।

গত বছরেই চিনের উহান থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। ধীরে ধীরে সেটা অতিমারির আকার ধারণ করে। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৯ লক্ষ মানুষের। করোনার পরিস্থিতি সামলাতে চিন-সহ গোটা বিশ্বকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেটা মাথায় রেখেই ব্রুসেলোসিস যাতে করোনার মতো তাণ্ডব চালাতে না পারে তাই আগে থেকেই কোমর বাঁধতে শুরু করেছে চিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Brucella China Bacteria
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE