মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে তাদেরই বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ বার অন্তর্তদন্তের আশ্বাস দিল মায়ানমার সেনাবাহিনী।
শুক্রবার সেনার তরফে জানানো হয়, রাখাইনে সামরিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনী কোনও ভাবে নিয়ম ভেঙেছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল আয়ে উইন। পাশাপাশি বলা হয়, তদন্তের সমস্ত তথ্য হাতে এলেই সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। তবে এই তদন্তে কতটা সত্যি সামনে আসবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দেশ-বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
গত সাত সপ্তাহ ধরে সেনা বাহিনীর অত্যাচারে ৮ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়েছে বলে অভিযোগ। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার আগে চলছে লাগাতার খুন-ধর্ষণ। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিকল্পিত ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে সেনা। তার ভয়বহতা এতটাই যে ভবিষ্যতে মায়ানমারে ফেরার কথা ভাবলেই শিউরে উঠছে ভিটেছাড়া রোহিঙ্গারা।
তবে প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সেনা। মায়ানমার কোনও দিনই রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলে মেনে দেয়নি। সেনা সূত্রের খবর, রোহিঙ্গা জঙ্গি দল ‘আরসা’ বহু দিন ধরেই মায়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। গত ২৪ অগস্ট তারা একটি পুলিশ ছাউনিতে হামলা চালালে পাল্টা অভিযান শুরু করে সেনা।
অত্যাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে শুক্রবারই মায়ানমারের সেনাপ্রধান তাঁর ফেসবুক পেজে জানান, সামরিক আইন মেনেই অভিযান চালিয়েছে সেনা। সেখানে আরও বলা হয়, সামগ্রিক পরিস্থিতির বিচারে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান মিলিয়ে আর ক্ষয়ক্ষতির হিসেব কষেই তা জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy