Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সেভ দ্য চিলড্রেনের দরজায় তালা পাকিস্তানে

দেশবিরোধীর কাজের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’কে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দিল প্রশাসন। তাদের স্বার্থবিরোধী কাজের প্রমাণ মিললে বাকি সংগঠনগুলিরও একই পরিণতি হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলি খান। ইসলামাবাদ শহরের প্রাণকেন্দ্রে সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি অফিস রয়েছে। বৃহস্পতিবার কাজের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর সেখানে গিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। ওই সংগঠনের বিদেশি কর্মচারীদেরও দেশ ছাড়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানেন না বলে দাবি সংস্থাটির শীর্ষ কর্তাদের।

সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৫ ০২:৪২
Share: Save:

দেশবিরোধীর কাজের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’কে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দিল প্রশাসন। তাদের স্বার্থবিরোধী কাজের প্রমাণ মিললে বাকি সংগঠনগুলিরও একই পরিণতি হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলি খান।

ইসলামাবাদ শহরের প্রাণকেন্দ্রে সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি অফিস রয়েছে। বৃহস্পতিবার কাজের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর সেখানে গিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। ওই সংগঠনের বিদেশি কর্মচারীদেরও দেশ ছাড়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানেন না বলে দাবি সংস্থাটির শীর্ষ কর্তাদের।

কেন এমন পদক্ষেপ, গত কাল সরকারি ভাবে কিছুই বলা হয়নি। তবে আজ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলি খান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘‘দেশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গত বছরই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বেশ কয়েকটির বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়া সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ মন্ত্রীর দাবি, সেভ দ্য চিলড্রেনের বিরুদ্ধে পাক স্বার্থ-বিরোধী কাজের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। নিসার আলি খানের হুঁশিয়ারি, বাকি আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিও যদি এক পথে হাঁটে, একই ভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে তাদেরও।

পাকিস্তানের মাটিতে তিরিশ বছর ধরে কাজ করছে সেভ দ্য চিলড্রেন। সে দেশে তাদের কর্মী সংখ্যা প্রায় ১২০০। তবে পাকিস্তানের অফিসে আপাতত কোনও বিদেশি কর্মী নেই বলেই দাবি সংস্থাটির।

খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে বহু দিন ধরে সমাজসেবামূলক কাজ করলেও সেভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু ২০১১ সালে। আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বার করার জন্য এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা। শাকিল আফ্রিদি নামে ওই চিকিৎসক টিকাকরণের নাম করেই খুঁজে পান ওসামার হদিস। পাক সরকারের সন্দেহ, ওই ডাক্তারের সঙ্গে যোগ ছিল সেভ দ্য চিলড্রেনের। যদিও সংগঠনটি তা গোড়া থেকেই অস্বীকার করে এসেছে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের এক কর্মী সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর থেকে বহু বার তাদের সাহায্য যাতে পাকিস্তানে ঢুকতে না পারে সেই বাধা তৈরি করেছে প্রশাসন। তবে আগে থেকে কিছু না জানিয়ে কেবল তিন লাইনের একটি চিঠি পাঠিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে, আঁচ করতে পারেননি কেউই। এর প্রতিবাদে শীর্ষ স্তরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE