প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি- এএফপি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই এ বার সরাসরি প্রশ্ন— কত জঙ্গি মরেছিল বালাকোটে? আজ এবিপি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকার কিন্তু কোনও রকম সংখ্যাতত্ত্বের দিকে গেলেন না মোদী। উল্টে বিরোধীদের উপরেই চাপ বাড়িয়ে বললেন, ‘‘কত জন মরেছে, বা কত জন মরেনি.... আদৌ কেউ মরেছে কি না, এ নিয়ে যাঁরা বিবাদ করার, করুন।’’
পুলওয়ামায় জইশ হামলার জেরে এই বালাকোট প্রত্যাঘাত নিয়ে গোড়া থেকেই চলছে বিতর্ক। গোড়ায় তাতে ৩০০ জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে দাবি করেছিল ‘সরকারি সূত্র’। অথচ পাকিস্তানের পাশাপাশি একাধিক সংবাদমাধ্যম রিপোর্ট করেছিল, সেখানে কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। এ নিয়ে হইচই শুরু হলে মুখ খোলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। জানান, ২৫০ জঙ্গি-মৃত্যুর পোক্ত তথ্য আছে তাঁর কাছে। বিরোধীরা তবু প্রমাণ চাইতে থাকেন। ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পরেও ধোঁয়াশা কাটেনি। সাক্ষাৎকারে আজ মোদী বলেন, ‘‘পাকিস্তানই তো প্রথম টুইট করে স্বীকার করল বালাকোটে প্রত্যাঘাতের কথা।’’ এবং এই প্রত্যাঘাত নিয়ে তিনি কোনও রকম রাজনীতি করতে চান না বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলার সময়ে মোদী জিম করবেট পার্কে প্রচারমূলক শুটিং করছিলেন বলে সুর চড়িয়ে আসছেন বিরোধীরা। সে কথা স্বীকার করেই মোদী বলেন, ‘‘ওটা পূর্বনির্ধারিত ছিল। জঙ্গি হামলা হবে, কে জানত।’’ তবে শুটিং সেরেই সে দিন তিনি তড়িঘড়ি কাজে নেমে পড়েন বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
আর যে দিন বালাকোটে প্রত্যাঘাত হল? মোদীর দাবি, সে দিন তিনি সারা রাত জেগেই ছিলেন। নজর রাখছিলেন অভিযানের উপর। ভোর ৩টে ৪০-এ তিনি খবর পান, অভিযান সফল। তার পর? মোদী বলেন, ‘‘প্রথমে চুপ করেই ছিলাম। ভোর ৫টা পর্যন্ত নেট সার্ফ করে জানতে চেয়েছি, এ নিয়ে কোথাও কোনও খবর হল কি না। সাড়ে ৫টা নাগাদ পাকিস্তান টুইট করার পরেই, সকাল ৭টায় সংশ্লিষ্ট কর্তাদের মিটিংয়ে ডাকি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy