সাংবাদিকদের মুখোমুখি ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকার বা়ড়াবাড়িতেই প্রশ্নের মুখে সিরিয়ার যুদ্ধবিরতি। শনিবার দেইর আল জৌর শহরে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৬২ জন সিরীয় সেনার মৃত্যুর খবরে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। বিষয়টিকে ‘অনিচ্ছাকৃত’ বলে আমেরিকা দুঃখপ্রকাশ করলেও, বরফ গলছে না।
বরং সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জকে আরও এক বার জরুরি বৈঠকে বসার আর্জি জানিয়েছে রাশিয়া। আর এ বারও ওয়াশিংটনকে পাশে বসিয়েই।
গত সপ্তাহে এই দুই দেশের মধ্যস্থতাতেই যুদ্ধবিরতির পক্ষে সায় দিয়েছিল সিরিয়া। কথা হয়েছিল, ইসলামিক স্টেট এবং আল-নুসরা জঙ্গিদের দমনে একটি যৌথ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে ওয়াশিংটন ও মস্কো।
সিরিয়ার সরকার-বিরোধী গোষ্ঠীদের নির্দিষ্ট কয়েকটি ঘাঁটিতে সামরিক অভিযান বন্ধেও সম্মত হয়েছিল দুই দেশ। গত সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর তাই সিরিয়ায় ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তনের আশা করছিলেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। কিন্তু সপ্তাহ-শেষের এই মার্কিন হামলা আর তা নিয়ে রাশিয়ার আঙুল তোলা— জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিল যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায়।
রাশিয়ার অভিযোগ, গত দু’দিনে সিরিয়ার সরকার-বিরোধী গোষ্ঠী ৫০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে। আর তা কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না মার্কিন সেনাবাহিনী। ওয়াশিংটন অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। বরং তাদের দাবি, জঙ্গিদের ঘাঁটি ভেবেই কাল রাতে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে দেইর আল জৌর শহরে হামলা চালিয়েছিল মার্কিন বোমারু বাহিনী। সেখানে যে সিরীয় বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে, তা নাকি তাদের কোনও ভাবেই জানা ছিল না।
মার্কিন সেনার সেই ‘ভুল ভাঙে’ রাশিয়ার কর্মকর্তাদের থেকে পাওয়া খবরে। আর তার পরেই হামলা বন্ধ করা হয় বলে আজ দাবি করেছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে সিরিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনা।
মস্কো তবু রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে বৈঠক চাইছেই। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সিরীয় যোদ্ধাদের উপর মার্কিন বিমান হামলায় শান্তিচুক্তি বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি আইএস-ও বাড়তি শক্তি পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy