Advertisement
১৯ মার্চ ২০২৪

পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বহু ভারতীয় শিশুও

মার্কিন মুলুকে অনুপ্রবেশের দায়ে বন্দি ভারতীয়দের থেকেও আলাদা করে রাখা হয়েছে তাঁদের সন্তানদের। দু’টি অভিবাসী আটক কেন্দ্রের (ডিটেনশন সেন্টার) সঙ্গে যোগাযোগ করে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। বন্দিদের সঙ্গে অবশ্য সরাসরি কথা বলতে দেওয়া হয়নি দূতাবাস কর্তাদের।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৮ ০৩:৩৫
Share: Save:

মার্কিন মুলুকে অনুপ্রবেশের দায়ে বন্দি ভারতীয়দের থেকেও আলাদা করে রাখা হয়েছে তাঁদের সন্তানদের। দু’টি অভিবাসী আটক কেন্দ্রের (ডিটেনশন সেন্টার) সঙ্গে যোগাযোগ করে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। বন্দিদের সঙ্গে অবশ্য সরাসরি কথা বলতে দেওয়া হয়নি দূতাবাস কর্তাদের।

দু’দিন আগেই একটি এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছিল, ৫০ জনেরও বেশি ভারতীয় ওরেগনের শেরিডান ফেডারেল কারাগারে বন্দি। এ-ও জানা গিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতির জেরে বন্দি ভারতীয়দের মধ্যে অনেকের শিশুদের আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে ঘোষণা করা হয়েছে, ওরেগন এবং নিউ মেক্সিকোর দু’টি কেন্দ্রে মোট একশোর কাছাকাছি ভারতীয় বন্দি রয়েছেন। বেশির ভাগই পঞ্জাবের বাসিন্দা। অভিযোগ, তাঁরা আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্ত পেরিয়ে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করেছিলেন। ওরেগনে বন্দি ৫২ জন ভারতীয়ের মধ্যে বেশির ভাগই শিখ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। নিউ মেক্সিকোর কেন্দ্রটিতে ৪০ থেকে ৪৫ জন ভারতীয় রয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘দু’টি অভিবাসী আটক কেন্দ্রের সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়েছে। ওরেগনে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছিল। নিউ মেক্সিকোতেও পাঠানো হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’ তবে নিউ মেক্সিকোর কেন্দ্রটির অবস্থা ভয়াবহ। কয়েক মাস ধরে সেখানে বন্দি ডজন খানেক ভারতীয়। বাকিদের এক
সপ্তাহ হল আনা হয়েছে। দিন কয়েক আগে ওরেগনের কিছু ডেমোক্র্যাট নেতা নিউ মেক্সিকোর কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান। তাঁরাই জানান, অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে বন্দিদের সঙ্গে। আটক ভারতীয়দের বেশির ভাগই ইংরেজি বোঝেন না। ফলে অনুবাদকের সাহায্য নিতে হচ্ছে।

ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শরণার্থী তকমা নিয়ে সহজে অভিবাসন পেতে বন্দিদের অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট করে ফেলেছেন। ফলে তাঁরা কোন দেশের, সেটা প্রমাণ করা তাঁদের পক্ষেই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সব ক্ষেত্রে ওই বন্দিদের সাহায্য করা দূতাবাসের পক্ষেও মুশকিল হয়ে পড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE