ডোনাল্ড ট্রাম্প
করোনা-প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে এ বার শেষ ল্যাপে ঢুকে পড়ল আমেরিকাও। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে দিলেন, ‘‘দু’সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। করোনা-মোকাবিলায় এ বার সত্যিই দারুণ ভাল খবর দিতে চলেছি।’’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর ১০০ দিনও নেই। এ দিকে তাঁর প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। সেই কারণে ট্রাম্প দ্রুত টিকার-দৌড়ে বাজিমাত করতে চাইছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ নিয়েও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।
‘টিকা-যুদ্ধ’ জিততে মরিয়া মার্কিন বায়োটেকনোলজি সংস্থা মডার্না এবং ফাইজ়ার-ও। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সঙ্গে জোট বেঁধে গত কালই তারা নেমে পড়েছে তাদের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের তৃতীয় অর্থাৎ চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে। এই পর্যায়ে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন। সাফল্য মিললে চলতি বছরের শেষেই মার্কিন ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলে মনে করছে ট্রাম্প শিবির। বিশেষজ্ঞদের একাংশ কিন্তু বলছেন, টিকা-পরীক্ষার শেষ ধাপে কোনও ভাবেই তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। এমনিতে টিকা তৈরিতে গড়ে ১৫ বছর সময় লাগে। করোনা-ভ্যাকসিনকে দেড় বছর সময় তো দিতেই হবে!
এ দিকে আমেরিকায় মৃত্যুমিছিল চলছেই। দেড় লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় লকডাউন আরও শিথিল করার পাশাপাশি টিকা-তৈরিতেই জোর দিতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। মডার্না এর আগে ভ্যাকসিন তৈরি করেনি। সরকারি তরফে তা-ও ১০০ কোটি ডলারের অর্থসাহায্য পেয়েছে তারা। ২০০ কোটি ডলার পেয়েছে ফাইজ়ার ইনকর্পোরেশনও। চুক্তি অনুযায়ী, সরকারকে ৫ কোটি ডোজ় দিতে বাধ্য তারা। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের মধ্যে ৫০ থেকে ১০০ কোটি ডোজ় তৈরি করবে মডার্না। আর ফাইজ়ার আরও ১৩০ কোটি।
আগেও বহু বার...
প্রসঙ্গ প্রেসিডেন্ট উবাচ
• কর সংস্কার ‘‘দু’সপ্তাহের মধ্যেই বড় ঘোষণা করব।’’
• ফোনে আড়ি ‘‘সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই খবর দেব।’’
• মেক্সিকো-প্রাচীর ‘‘নকশা তৈরি। দু’সপ্তাহে জমা দেব।’’
• প্যারিস-চুক্তি ‘‘দু’সপ্তাহের মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’’
• আইএস ‘‘দু’সপ্তাহের মধ্যে সব বলব।’’
কিন্তু পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক বলেই দাবি মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচির। তাঁর কথায়, সংক্রমণের আরও একটা ঝড় সব শেষ করে দেবে। লকডাউন যত শিথিল হবে স্বাস্থবিধি পালনে তত কড়াকড়ি জরুরি। শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে দেখে বিনামূল্যে তাদের করোনা-পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে মায়ামি প্রশাসন। ট্রাম্প চাইছেন, এখনই দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হোক। যার পাল্টা স্বরও উঠছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে। এ দিকে ইউরোপে ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ঝড়ের ইঙ্গিত মিলছে বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আরও পড়ুন: খালি পায়েই সন্ন্যাসীর পাহাড়ে ওঠা অবাক করল ট্রেকারদের
আরও পড়ুন: অনাথ জেব্রার ‘মা’ সেজে দেখভাল করছেন ওয়াল্ডলাইফের কর্মীরা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy