প্রতীকী ছবি।
অভিভাবক ছাড়াই সীমান্তে এসে পড়েছিল কেউ। কেউ আবার সীমান্ত পেরোতে গিয়ে বাবা-মা’র কাছছাড়া হয়ে পড়ে। এই রকম দেড় হাজার অনুপ্রবেশকারী শিশুর হদিসই নেই মার্কিন প্রশাসনের কাছে। গত মাসে সেনেটের এক সাব কমিটির কাছে এই তথ্য পেশ করেছেন আমেরিকার স্বাস্থ্য ও জন পরিষেবা বিষয়ক দফতরের অন্যতম শীর্ষ কর্তা স্টিভেন ওয়াঙ্গার।
দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত পেরিয়ে এই শিশুরা অধিকাংশই এসেছিল এল সালভাদোর, গুয়াতেমালা ও হন্ডুরাস থেকে। অনুপ্রবেশকারী বাবা-মা সীমান্তেই গ্রেফতার হওয়ায় আলাদা হয়ে যান সন্তানদের থেকে। আবার মাদকচক্র বা পাচারকারীদের হাত থেকে পালিয়েও অনেক শিশু এসে পড়ে সীমান্তে। ২০১৭ সালে শরণার্থী পুনর্বাসন বিভাগের হাতে পৌঁছয় অন্তত ৪০ হাজার শিশু। স্বাস্থ্য ও জন পরিষেবা দফতরের অধীনে রয়েছে এই বিভাগ। দফতরের সহকারী সচিব স্টিভেন জানাচ্ছেন, উদ্ধারের পরে এই শিশুদের সরকারি দায়িত্বে রাখা হয় কয়েক দিন। তার পরে তাদের একটা বড় অংশকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল আত্মীয়দের কাছে। কেউ ঠাঁই পেয়েছে অপরিচিত কোনও পরিবারে।
২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই রকম সাড়ে সাত হাজার অভিভাবকহীন শিশুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল শরণার্থী পুনর্বাসন বিভাগ। স্টিভেন জানান, দেড় হাজার শিশু কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছে তার আর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। ২৮ জন শিশু অবশ্য পলাতক। অর্থাৎ, উদ্ধারের পর যে শিশুদের ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ পাঠানো হল, তাদের অনেকেরই কোনও খোঁজ নেই। স্বাস্থ্য ও জন পরিষেবা দফতর যদিও জানিয়েছে, ওই শিশুরা বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার জন্য আইনি ভাবে তারা দায়ী নয়। তারা পাচারকারীদের হাতে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রতি অনুপ্রবেশে কড়া নীতি নিচ্ছে আমেরিকা। এই নয়া নীতি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তাঁর মতে, প্রশাসন এর জন্য দায়ী নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy