এগিয়ে আসছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নয়াদিল্লি সফরের তারিখ। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাঁর সফরে মস্কোর সঙ্গে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তিটি সই হওয়ার কথা। কিন্তু এই চুক্তির উপরে ক্রমশ বাড়ছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ছায়া।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে এই ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি ‘গুরুত্বপূর্ণ এক লেনদেন’। রাশিয়ার কাছ থেকে ‘সুখোই এসইউ-৩৫’ যুদ্ধবিমান ও ভূমি থেকে আকাশ ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য চিনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। ক্রিমিয়ার উপর দখলদারি ও অন্যান্য কয়েকটি কারণে রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রথম কোনও তৃতীয় দেশ (চিন)-এর বিরুদ্ধে ‘ক্যাটসা’ জারি হল। ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা বলেছেন, ‘‘এই সব নিষেধাজ্ঞারই আসল লক্ষ্য— রাশিয়া।’’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের তরফে জানানো হল, রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ
ব্যবস্থা কেনার দিকে এগিয়ে গেলে সব দেশকেই (ভারত-সহ) তার ‘মূল্য দিতে হবে’। জারি হবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।
স্বাভাবিক ভাবেই নয়াদিল্লির উপর প্রবল ভাবে চাপ বেড়ে গিয়েছে। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বেজিংয়ের মত বৃহৎ শক্তির ক্ষেত্রে যদি এতটাই কঠোর অবস্থান নিতে পারে ওয়াশিংটন, তা হলে নয়াদিল্লিকেও যে তারা ছাড় দেবে না, তা স্পষ্ট।
যদিও সাম্প্রতিক ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার গুরুত্বের কথা বিশদে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এটাও বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার রণনীতিতে ভারতকে টেক্কা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে পাকিস্তান এবং চিন। তাদের কাছেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে যে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার এই চুক্তি নিয়ে যখন কথা পাকা হয়েছে তখনও পর্যন্ত আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কোনও প্রসঙ্গই ছিল না।
চিন অবশ্য আমেরিকার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেনি। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আমেরিকাকে ওই ‘ভুল শুধরে নিতে’ বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘তা না হলে পরিণতি ভাল হবে না।’’ চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নিয়মকানুনকেই লঙ্ঘন করেছে। একই সঙ্গে দু’টি দেশ (চিন ও আমেরিকা) আর দু’দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্কে ভীষণ ভাবে আঘাত করেছে। আমরা আন্তরিক ভাবে ওই ভুল শুধরে নিতে বলছি আমেরিকাকে। না হলে পরিণতি ভাল হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy