জাস্টিন ট্রুডো
হ্যারি-মেগান ‘সিনিয়র রয়্যাল’-এর ভূমিকা থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে কালই সম্মতি দিয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। এ বার ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স হ্যারি ও মেগান উত্তর আমেরিকা (কানাডা) আর ব্রিটেনে (লন্ডন) সময় ভাগ করে থাকবেন। কানাডায় তাঁদের থাকার ব্যাপারে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, এ নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা করার রয়েছে।
গত কাল নরফোকের স্যানড্রিংহ্যাম এস্টেটে রানির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন হ্যারি। স্ত্রী মেগান যোগ দিয়েছিলেন ফোনে। রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে হ্যারিদের সিদ্ধান্তে রানি সায় দিয়েছেন। হ্যারি-মেগানের ‘স্বাধীন জীবন’-এর কিছুটা কাটবে কানাডায় আর কিছুটা লন্ডনে। কিন্তু কানাডায় থাকাকালীন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে, কারা সেই ব্যয়ভার বহন করবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গেই ট্রুডো বলেছেন, ‘‘সেই সব দিক নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা এখনও জানি না, ওঁদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী ভাবে কার্যকর হতে চলেছে। তবে তাঁর মতে, কানাডীয়দের মধ্যে বেশির ভাগ রাজপরিবারের সদস্যদের সমর্থন জানাবেন। তাঁর কথায়, ‘‘রাজপরিবারের তরফে এখনও অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি। ডিউক ও ডাচেসও ভাবছেন। ওঁরা আগেও কানাডায় থেকেছেন। কানাডা নিয়ে ওঁরা সন্তুষ্ট।’’
এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কারণ, গত কালই কানাডার অর্থমন্ত্রী বিল মনরো বলেছিলেন, হ্যারি-মেগানের নিরাপত্তার ব্যয়ভার নিয়ে সরকারে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। তবে তিনি জানান, কমনওয়েলথভুক্ত দেশ হিসেবে তাঁদের এ ব্যাপারে ভূমিকা থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তা হলে কি এ বার মেগানদের নিরাপত্তা ব্যয়ভার কানাডার করদাতারা মেটাবেন? ট্রুডোর মুখপাত্র এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। কানাডায় সরকারি স্তরে অনেকেরই ধারণা, সত্যি যদি হ্যারি-মেগানের নিরাপত্তার অর্থভার তাঁদের উপরে চেপে বসে, তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy